ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৩ স্তরের স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা চালুর পরামর্শ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
৩ স্তরের স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা চালুর পরামর্শ ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: নিরাপদে গাড়ি চালানোর উপায় হিসাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে পৃথিবীর উন্নত অনেক দেশেই গ্রাজুয়েট ড্রাইভার লাইসেন্সিং সিস্টেম (জিডিএলএস) ব্যবস্থা চালু আছে। তিন স্তরের ড্রাইভার লাইসেন্সিং পরীক্ষার এ স্মার্ট পদ্ধতি চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ রোড সেফটি ভলান্টিয়ার্সের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মিয়াজী আলমগীর আলম চৌধুরী।

 এ পদ্ধতিতে ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবস্থা চালু করলে গ্রাহকরা দালালের দৌরাত্ব থেকে মুক্তি পাবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে ‘নিরাপদে গাড়ি চালানোর উপায় বিষয়ক’ ও ‘গ্রাজুয়েটেড ড্রাইভার লাইসেন্সিং সিস্টেম (জিডিএলএস)’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব পরামর্শের কথা বলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করে বাংলাদেশ রোড় সেফটি ভলান্টিয়ার।

গ্র্যাজুয়েটেড ড্রাইভার লাইসেন্সিং সিস্টেমের তিনটি ধাপের পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশ রোড সেফটি ভলান্টিয়ার্সের চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের এখন মাঠে নয় বরং রাস্তায় সরেজমিনে ড্রাইভিং করে দক্ষতা দেখিয়ে পাশ করতে হবে। যার মধ্য দিয়ে নতুন ড্রাইভার পাস করবে। প্রথমত তারা একটি শিক্ষানবিশ পারমিট অর্জন করবে (লার্নার্স ড্রাইভিং লাইসেন্স)। এ সময় তত্ত্বাবধানহীন অর্থাৎ ইনস্ট্রাক্টর ছাড়া ড্রাইভিং করা যাবেনা এবং গাড়ির ওপর লাল (এল) চিহ্নিত বোর্ড বসাতে হবে।  দ্বিতীয়ত পাশ করার পর এক বছরের জন্য একটি সীমাবদ্ধ, প্রবেশনারি (পি) বা অস্থায়ী লাইসেন্সে পাবে এবং গাড়ির ওপর সবুজ (পি) চিহ্নিত বোর্ড বসাতে হবে। এই এক বছর হাইওয়ে এবং এক্সপ্রেসওয়েতে ড্রাইভিং নিষিদ্ধ থাকবে। তৃতীয়ত, যারা পাশ করার পর এক বছর সফলভাবে গাড়ি চালাবে, কোনো প্রকার এক্সিডেন্ট রেকর্ড ছাড়া। তারাই শুধুমাত্র একটি সম্পূর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন।

তিনি আরও বলেন, পুরনো পরীক্ষা পদ্ধতি দিয়ে মোটরসাইকেল এবং গাড়ির লাইসেন্স পাওয়া বন্ধ করতে হবে। মোটরসাইকেল, বাস ড্রাইভিং, ট্রাক ড্রাইভিং ইত্যাদির জন্য আলাদা ব্যাবহারিক পরীক্ষা হতে হবে।

সমন্বিত নির্দেশিকা বা হাইওয়ে কোড প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যেখানে রাস্তা ব্যবহারকারীদের জন্য তথ্য, পরামর্শ ও নির্দেশিকা থাকবে। হাইওয়ে কোডটি পথচারী, গাড়ি, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি, ঠেলাগাড়ি, রিকশা, সাইকেল, মোটরসাইকেল ইত্যাদির চালকসহ সমস্ত রাস্তা ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযোজ্য করা যেতে পারে। হাইওয়ে কোডে রাস্তার চিহ্ন, যানবাহনের চিহ্ন এবং সড়ক নিরাপত্তা সম্পর্কিত তথ্য থাকবে। এক্ষেত্রে নিয়মগুলির ওপর সংশ্লিষ্ট আইনের উল্লেখও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ রোড় সেফটি ভলান্টিয়ারের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মিয়াজী আলমগীর আলম চৌধুরী।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ রোড় সেফটি ভলান্টিয়ার ডিরেক্টর ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট গোলাম শাকিল চৌধুরী, ঢাকা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিয়াসমিন মিলা, বাংলাদেশ রোড় সেফটি ভলান্টিয়ারের ডিরেক্টর অ্যাডভোকেট মো. আরিফ হাসান মাহমুদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
ইএসএস/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Veet