ঢাকা: ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যেতে ইচ্ছুক সাধারণ মানুষদের ফাঁদে ফেলত একটি প্রতারক চক্র। তারা ভুক্তভোগীদের মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বেশি বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখাতো।
ভুক্তভোগীরা মধ্যপ্রাচ্যে যেতে না পারলে তাদের আশা ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিতেন এবং টাকা পরিশোধ করতেন না।
এই চক্রের মূলহোতা রানা হামিদ (৩২)। রাজধানীর মতিঝিলে 'রোহান ট্যুরস্ অ্যান্ড ট্রাভেলস্’ নামে একটি অফিসে খুলে দীর্ঘ দিন ধরেই প্রতারণা করে আসছিলেন তিনি।
রোববার (৩০ এপ্রিল) বিকালে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারক চক্রের মূলহোতা রানাসহ তার দুই সহযোগীকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৩) একটি টিম। আটক দুই সহযোগী হলেন মো. রেজাউল ইসলাম (৩৫) ও মো. সুজন (২৬)।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বিদেশে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এই চক্রটি। চক্রের মূলহোতা রানা হামিদ।
অধিনায়ক বলেন, আটক আসামিদের জনশক্তি রপ্তানির কোনো বৈধ লাইসেন্স নেই। তারা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বেশি বেতনে চাকরি, বছরে দুটি বোনাস, থাকা খাওয়া ফ্রিসহ লোভনীয় কথাবার্তা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, চক্রটি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে চক্রটি ভুক্তভোগীদের টার্গেট করে বিদেশে পাঠানোর জন্য লোভনীয় কথা বার্তা বলতো। ভুক্তভোগীদের কেউ বিদেশ যেতে না পারলে সময় ক্ষেপণ করত তারা। দীর্ঘদিন পার হওয়ার পরেও তারা ভুক্তভোগীরা ওই অফিসে গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে রানা হামিদসহ অফিসের অন্য সহযোগীরা ভুক্তভোগীদের নানান ভয়-ভীতি দেখাতেন। তাদের জমা দেওয়া টাকার আশা ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলতো চক্রটি।
আটক রানা ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে চক্রের বাকি সদস্যদের আটক অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৩
এসজেএ/এসআইএ