ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গেন্ডারিয়ায় গ্যাসলাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণ, জবি শিক্ষার্থীসহ দগ্ধ ৮

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৪ ঘণ্টা, মে ১, ২০২৩
গেন্ডারিয়ায় গ্যাসলাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণ, জবি শিক্ষার্থীসহ দগ্ধ ৮ ফাইল ছবি

ঢাকা: রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজারে রাস্তায় গ্যাসলাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণে জবি শিক্ষার্থীসহ আটজন দগ্ধ হয়েছেন।

সোমবার (১ মে) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুরাতন বার্ন ইউনিটে ও পাঁচজনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

দগ্ধরা হলেন- মুদি দোকানদার আব্দুর রহিম (৫০), তার মেয়ে মীম আক্তার (২১) ও নাতি আলিফ (২), ডিমের দোকদানদার মো. রাশেদ (৩০), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান (২৩), শাড়ির দোকনদার আলী হোসেন (৩০), পথচারী সাহেরা বেগম (৬৫) ও মো. সোহেল (৪৮)।

দগ্ধরা জানান, তারা ধূপখোলা মাছ বাজারের একটি বাড়িতে থাকেন। বাড়ির এক পাশে মুদি দোকান। দোকানে বসাছিলেন আ. রহিম। আর পাশেই ছিলেন তার মেয়ে ও নাতি। দোকানটির সামনের রাস্তায় তিতাস গ্যাসলাইনের মেরামত করা হচ্ছিল। সকালে হঠাৎ সেখান থেকে বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তেই আগুন ধরে যায় শরীরে।

দগ্ধ রহিমের ছেলে মো. আল আমিন জানান, কয়েকদিন ধরেই তিতাসের লাইন মেরামতের কাজ চলছিল। তবে তারা কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেনি। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছিল। সকালে সেখান থেকেই এ বিস্ফোরণ হয়।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, গেন্ডারিয়ার ঘটনায় দগ্ধ তিনজনকে ঢামেক হাসপাতালের পুরাতন বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়। পরে আরও পাঁচজনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে আসে। এদের মধ্যে রহিমের বেশি দগ্ধ হয়েছে।

গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সাঈদ আল মামুন জানান, ধূপখোলা এলাকায় ওয়াসার লোকজন কাজ করছিল, হয়তোবা সে কাজের কারণে তিতাসের গ্যাসলাইন লিক হয়ে যায়। এতে সকালে সেখানে আগুন ধরে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। ঘটনাস্থলে একটি ডিমের পাইকারি দোকান ছিল। সেই দোকানেই আগুন লাগে। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে বেশ কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলে পরে তিতাসের লোকজন কাজ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫১ ঘণ্টা, মে ১, ২০২৩/আপডেট ১৫৪৬ ঘণ্টা
এজেডএস/এসআইএ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।