ঢাকা: বর্তমানে দেশে মোট শ্রমশক্তির সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৩৭ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ ৪ কোটি ৮২ লাখ ও নারী ২ কোটি ৫৪ লাখ।
মঙ্গলবার (২ মে) আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩ এর প্রথম কোয়ার্টারে (জানুয়ারি-মার্চ) পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ সূচকসমূহের ফল প্রকাশ সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রধান অতিথি হিসেবে এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্প পরিচালক আজিজা রহমান তথ্য তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত জরিপগুলোর মধ্যে শ্রমশক্তি জরিপ একটি গুরুত্বপূর্ণ জরিপ। সর্বশেষ ২০২২ সালে এ জরিপটি পরিচালিত হয়, যার প্রভিশনাল রিপোর্ট ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ২০২৩ সালে শ্রমশক্তি জরিপ দেশব্যাপী পরিচালিত হচ্ছে। শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য সংগ্রহের জন্য সমগ্র বাংলাদেশে ১ হাজার ২৮৪টি পিএসইউ এবং প্রতিটি পিএসইউতে ২৪টি খানা দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে, প্রতি কোয়ার্টারে ৩০ হাজার ৮১৬ খানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এভাবে এক বছরে তিন মাস করে চারটি কোয়ার্টার সম্পন্ন করা হবে। এ জরিপের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান থাকবে।
প্রকল্প পরিচালক জানান, ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩ এর প্রথম ত্রৈমাসিকের (জানুয়ারি-মার্চ) ফল অনুযায়ী মোট শ্রমশক্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী ৭ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ জন, পুরুষ ৪ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার, নারী ২ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার। এ ছাড়াও কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী বর্তমানে ৭ কোটি ১১ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ ৪ কোটি ৬৫ লাখ ৪০ হাজার, নারী ২ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার।
তিনি আরও জানান, ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩ এর প্রথম ত্রৈমাসিকের (জানুয়ারি-মার্চ) ফল অনুযায়ী বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২ কোটি ৫৯ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ ১ কোটি ৭১ লাখ, নারী ৮৮ হাজার, শ্রমশক্তির বাইরে অবস্থিত জনগোষ্ঠী ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৯০ হাজার, এর মধ্যে পুরুষ ১ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার, নারী ৩ কোটি ৫২ লাখ।
শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার ৬১ দশমিক ৩৭ শতাংশ । অর্থনৈতিক খাত অনুযায়ী কৃষিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৩ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার, শিল্পখাতে ১ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার এবং সেবায় ২ কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার। যুব শ্রমশক্তি ২ কোটি ৭৩ লাখ ৮০ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ১ কোটি ৪০ লাখ ৩০ হাজার ও নারী ১ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এই প্রথমবার ত্রৈমাসিক ভিত্তিক ফল প্রকাশ করা হলো। তবে অল্প সময়ের হিসাব দিয়ে উপসংহার টানা ঠিক হবে না।
তিনি আরও বলেন, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি কৃষি সময়টা মন্দাকাল বলা চলে। আবার জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর কৃষিতে অংশগ্রহণ কম থাকে। তবে তিনটি কোয়ার্টার দিলে প্রকৃত চিত্র উঠে আসবে। বিরূপ প্রতিক্রিয়া- কমে গেলো, কমে গেলো, তা করা ঠিক না। এই সময়ে শিল্প খাতে ও সেবা খাতে শ্রমশক্তি বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে মার্চে কৃষি তথ্যগুলো প্রত্যাশিত, চিন্তা চেতনার বাইরে কোনো তথ্য নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৩
এসএমএকে/আরএইচ