ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নগর পরিবহনের চার রুটে শুরু টেন্ডার প্রক্রিয়া, যুক্ত হচ্ছে ১০০ ই-বাস 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৮ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৩
নগর পরিবহনের চার রুটে শুরু টেন্ডার প্রক্রিয়া, যুক্ত হচ্ছে ১০০ ই-বাস 

ঢাকা: উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশনের আওতায় ঢাকা নগর পরিবহনের ২৭ ও ২৮ নম্বর রুটের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা নগর পরিবহনে যুক্ত হবে ১০০ ইলেকট্রনিক বাস (ই-বাস)।

 

মঙ্গলবার (৯ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে আয়োজিত বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশন কমিটির ২৭ তম সভায় এ ঘোষণা দেন মেয়র আতিক।

মেয়র আতিক বলেন, আমাদের আরবান ক্লাস্টারের অরিজিনাল পরিকল্পনায় ছয়টি এবং সাব আরবান পরিকল্পনায় তিনটিসহ নয়টি ক্লাস্টার করার কথা ছিল। এই নয়টির মধ্যে গ্রিন ক্লাস্টার বা সবুজ গুচ্ছ নিয়ে সবার আগে কাজ করছি আমরা। এই সবুজ গুচ্ছের আওতায় ২১ থেকে ২৮ নম্বর রুট নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান করি।  

সবুজ গুচ্ছের আওতায় আটটি রুট নিয়ে কোম্পানি চালু করার বিষয়ে মেয়র বলেন, অনেক রুটে লাভবান হচ্ছি, অনেক রুটে হচ্ছি না। আজ তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ২৭ ও ২৮ নম্বর রুটে বাস চালাতে ইচ্ছুকদের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। অর্থাৎ ২৪, ২৫, ২৭ ও ২৮ নম্বর রুটের জন্য একসঙ্গে টেন্ডার আহ্বান করেছি। এর মাধ্যমে আমাদের গ্রিন ক্লাস্টারের ফলাফল কী দাঁড়ায় তা দেখা হবে।  

দক্ষিণের মেয়র শেখ তাপস বলেন, গ্রিন ক্লাস্টারের সবগুলো রুট চালু হলে আমরা কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে চাই, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য অনুযায়ী আমরা বাস মালিকদের সঙ্গেও সমন্বয় করছি। আমরা বারবার আহ্বান জানাচ্ছি নতুন গাড়ি আসুক। অনেকেই পুরাতন বাস মেরামত করে নামান। এটি বন্ধ করা হবে। নতুন বিনিয়োগকারী নতুন বিনিয়োগ নিয়ে আসতে হবে। তবে পুরাতন বিনিয়োগকারীরা যুক্ত হতে নতুন বাস নিয়ে আসতে পারবেন।

ঢাকা থেকে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল সরানোর প্রক্রিয়া শুরু

৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

ভাটুরিয়া, হেমায়েতপুর, ঘাটারচর, কাঁচপুর সহ একাধিক স্থান দেখা হচ্ছে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।  

মেয়র আতিক বলেন, নগরের ভেতর থেকে যত দ্রুত সম্ভব আন্তঃজেলা বাসগুলো সরাতে পারবো। এই বিষয়ে আমরা দুই মেয়র, রাজউক চেয়ারম্যান, ডিএমপি, বিআরটিএসহ কয়েকটি জায়গা দেখা হয়েছে। একটি হল গ্রাম ভাটুলিয়া, সাভারের হেমায়েতপুর, কাঁচপুর, বাঘাইল ও ঘাটারচরের সবমিলিয়ে ৩০ একর জমি অ্যাকুইজিশন করা হচ্ছে বাস টার্মিনাল তৈরির জন্য।  

তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ি ও ঘাটারচরে কাজ অনেকটাই এগিয়েছে কারণ আমরা মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল সরানোর বিষয়ে সবার আগে গুরুত্ব দিচ্ছি। এভাবে আমরা একটি প্রতিষ্ঠানের আওতায় টোটাল একটি ক্লাস্টারের মধ্যে আনার চেষ্টা করছি।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন ও বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ খান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৩
এনবি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।