ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘কয়লাভিত্তিক জ্বালানি থেকে বের হওয়ার পথে বাধা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৯ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
‘কয়লাভিত্তিক জ্বালানি থেকে বের হওয়ার পথে বাধা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ’

ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবেলায় অর্থায়নে শিল্পোন্নত দেশগুলোগুলো প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার করে দেওয়ার কথা থাকলেও ২০১৯ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার করে দেওয়া হয়েছে।

আবার এখন বলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ক্লাইমেট চেঞ্জ স্পর্শকাতর জ্বালানি থেকে বের হয়ে আসতে আরও সময় লাগবে।

অর্থাৎ কয়লাভিত্তিক জ্বালানি থেকে বের হওয়ার পথে বাধা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ।

‘জি-৭ এন ২০২৩-সেন্টার ফর পলিসিটি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত কল ফর গ্লোবাল ইনিসিয়েটিভ এনন্ডিং সাপোর্ট ফর ফসিল ফুয়েল অ্যান্ড একসিলেরেটিং দ্য ট্রানজিশন টু রিনিয়েবল এনার্জি’ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বুধবার (১০ মে) রাজধানীর হোটেল শেরাটনে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।  

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বন ও পরিবেশ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তানভির  সাকিল জয়, ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার মাত কানেল, জাপানের ডেপুটি চিফ অব মিশন তাতসিয়া মাসিদা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, জি-৭ এর জ্বালানি বিষয়ে মন্ত্রীরা জাপানের হিরোশিমাতে বৈঠকে মিলিত হয়েছে। সেখানে তারা ক্লাইমেট চেঞ্জের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছে। আগে তারা বিভিন্ন সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলেছিল, এখন তারা যখন বৈঠকে বসেছে তারা সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারছেন না।

কথা রাখার ক্ষেত্রে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চ্যালেঞ্জ হিসাবে সামনে এসেছে। নবায়নযোগ্য এনার্জিতে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং এ বিষয়ে আলোচনা করছে মন্ত্রীরা।

কয়লাভিত্তিক জ্বালানি থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ে আসার জন্য তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এখন বলছে এটা আর সম্ভব নয়। কেউ বলছে বলছেন এটা হতে আরও সময় লাগবে। এ সময়ে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো এলএমজিকে ট্রানজেকশন সময়ের গ্যাস হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছে। আরও বেশি কীভাবে এগুলো গ্রিন এনার্জি হিসাবে ব্যবহার করা যায়-এ বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার কথা বলছে কেউ কেউ। অন্যান্য দেশগুলোকে এ বিষয়ে অনুপ্রাণিত করতে চাইছে তারা; উল্লেখ করেন বক্তারা।

সংলাপে তারা বলেন, এর আগে শিল্পোন্নত দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রতিবছর একশো বিলিয়ন করে ক্লাইমেট রিজিলিয়ান তহবিলে দেবে। কিন্তু পরবর্তীতে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ২০ বিলিয়ন করে এবং ২০২৫ সালে ৪০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায়।

মূল প্রবন্ধের সিপিডির গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজেম বলেন, শিল্পোন্নত দেশগুলো নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কার্বন নিসরণ কমিয়ে আনার কথা বলছে। এ্যামোনিয়া ও হাইড্রোজেশনের মত প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলছে তারা। যদিও তারা এখনো ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি।

তিনি বলেন, এ ধরনের প্রযুক্তি বেশ ব্যয় বহুল। বাংলাদেশের মত উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো এখনো আর্থিকভাবে সক্ষম না, তাদের জন্য এগুলো ব্যয় বহুল হবে।  এ জন্য আমরা নিরুৎসাহিত করছি।  

তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলা ও ক্ষতিপূরণে বিলিয়ন ডলারের তহবিলে হবে না। এখন ট্রিলিয়ন ডলারের তহবিলের প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে পরিবেশে যেভাবে পরিবর্তন এসেছে এর ক্ষতিপূরণে আরও বড় তহবিল গঠনের প্রয়োজন। যার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো কাজ করতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৩
জেডএ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।