ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেটে মা-ছেলে হত্যায় তানিয়া-মামুন দম্পতির মৃত্যুদণ্ড

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২১ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
সিলেটে মা-ছেলে হত্যায় তানিয়া-মামুন দম্পতির মৃত্যুদণ্ড মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দম্পতি

সিলেট: সিলেট নগরের খারপাড়ায় মা-ছেলেকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  রায়ে আসামিদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর ২য় আদালতের বিচারক মো. নূরে আলম ভূঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের পিপি মোহাম্মদ জুবায়ের বখত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত গৃহপরিচারিকা তানিয়া আক্তার ও তার স্বামী ইউসুফ খান মামুন।  মামুন খানের গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশায়।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ৩০ মার্চ রাতে সিলেট নগরের মীরাবাজার খারপাড়া ‘মিতালী ১৫/জে’ বাসার নিচতলার একটি ফ্লাটে রোকেয়া বেগম (৪৫) ও তার ছেলে রর্বিউল ইসলামকে (১৬) গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরদিন ১ এপ্রিল বাসা থেকে মা ছেলের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের পাশ থেকে আহত অবস্থায় ৫ বছরের ছোট শিশু রাইসাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। হত্যাকারীরা রাইসাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে গিয়েছিল। নিহত রোকেয়া সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর কলকলি গ্রামের হেলাল মিয়ার স্ত্রী।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই জাকির হোসেন অজ্ঞাত চারজনের বিরুদ্ধে সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।

এরপর ওই বছরের ১০ এপ্রিল কুমিল্লা থেকে পিবিআই’র হাতে আটক হন তানিয়া আক্তার ও তার স্বামী ইউসুফ খান মামুন। তারা উভয়ে হত্যাকাণ্ডে নিজেদের জড়িয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।

এদিকে, ঘটনাস্থল একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী নিহত রোকেয়া বেগমের মেয়ে রাইসার। তারও জবানবন্দিও রেকর্ড করেন আদালত। আদালতে রাইসা ও আসামিদের জবানবন্দি হুবহু মিলে যায়।

আদালতের পিপি মোহাম্মদ জুবায়ের বখত বলেন, চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি তদন্ত করে পিবিআই। ২০১৯ সালের ১৯ মে তদন্ত শেষে আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পিবিআই’র পরিদর্শক দেওয়ান আবুল হোসেন। ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি আদালত চার্জ গঠন করে বিচারকার্য শুরু করেন। দীর্ঘ শুনানিতে ২৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
এনইউ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।