ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দেড় কোটি টাকার স্বর্ণ ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষ, আটক ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
দেড় কোটি টাকার স্বর্ণ ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষ, আটক ৩

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে স্বর্ণ ভাগাভাগির সময় চোরাচালানকারী দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সেখানে উপস্থিত হয়ে ১ কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের চারটি স্বর্ণের বারসহ তিন স্বর্ণ পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ।

তাদের মধ্যে দুইজনকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পাওয়া যায়।

শুক্রবার (১২ মে) রাত ৮টার দিকে জীবননগরের শাহাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে জখম দুইজনকে আটক করে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।

আটকরা হলেন- জীবননগর উপজেলার ঘুগরাগাছি গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের খানের ছেলে মাজহারুল ইসলাম খান পল্টু (৩২), একই গ্রামের হাসেম খানের ছেলে আছির উদ্দিন (৪২) ও জীবননগর উপজেলার বাড়ানদি গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ খানের ছেলে শাহাবুদ্দিন খান (৪৫)।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে স্বর্ণ চোরকারবারি দুই গ্রুপের সদস্যরা জীবননগরের শাহাপুরে অবস্থান করছিল। এ সময় স্বর্ণ ভাগাভাগি নিয়ে ওই দুই গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দুই পক্ষই একে অপরের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালায়। অস্ত্রের আঘাতে দুইজনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয় এমন গোপন তথ্য পেয়ে শাহাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। পরে সেখান থেকে শাহাবুদ্দিন এবং আহত পল্টু ও আছির উদ্দীনকে আটক করা হয়। এছাড়া তাদের কাছে থেকে ১ কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের চারটি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয় এবং আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনার পর জীবননগর থানায় উপস্থিত হয়ে সহকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা সাংবাদিকদের জানান, দুইদল স্বর্ণ চোরাচালানকারীর মধ্যে স্বর্ণ ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষ হচ্ছে এমন তথ্য পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে চারটি স্বর্ণের বারসহ তিনজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছে পাওয়া স্বর্ণের ওজন ১৫৯ ভরি (১ কেজি ৮০০ গ্রাম) এবং সেগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন জানান, আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। ওই দুই গ্রুপের বাকি অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল জানান, আহত দুইজনের পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মাজহারুল ইসলাম পল্টুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩১ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।