ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী জাতীয় পরিষদের আত্মপ্রকাশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী জাতীয় পরিষদের আত্মপ্রকাশ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী জাতীয় পরিষদের নেতারা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ‌১০ থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোসহ যৌক্তিক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে নবগঠিত ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী জাতীয় পরিষদ’।

শনিবার (১৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের আটটি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত নতুন এ পরিষদের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে।

সংগঠন আটটি হলো- ‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’, ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন’, ‘বাংলাদেশ সরকারি গাড়ি চালক সমিতি’, ‘বাংলাদেশ ১৭ থেকে ২০ গ্রেড কর্মচারী সমিতি’, ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’, ‘বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ’, ‘গণপূর্ত শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’ ও ‘বাংলাদেশ ডাক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ (বাডাকসপ)’।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী জাতীয় পরিষদের সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. আকতার হোসেনের নাম ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পরিষদে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের মহাসচিব মো. রুহুল আমিন ও কার্যকরী সভাপতি মো. জামসেদ আলম, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. হেদায়েত হোসেন ও কার্যকরী সভাপতি মো. আব্দুল হাই মোল্যা, বাংলাদেশ সরকারি গাড়ি চালক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুর রহিম হাওলাদার রানা ও সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ ১৭-২০ গ্রেড কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সায়েম, গণপূর্ত শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল হক, বাংলাদেশ ডাক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের নির্বাহী সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ও মহাসচিব মুহাম্মদ খলিলুর রহমান ভূঞা, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেম, বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. শাহিনুর আল-আমিন প্রমুখ। তবে পরিষদে তারা কোন পদে থাকবেন সেটি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী জাতীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আকতার হোসেন বলেন, সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে সচিবালয় ও সচিবালয়ের বাইরে বহু মতভেদে একাধিক সংগঠনের সৃষ্টি হয়েছে। যারা প্রত্যেকেই নেতৃত্বের দাবিদার। কিন্তু আবার এসব সংগঠনের মধ্যে এমনও সংগঠন রয়েছে যাদের সঙ্গে সাধারণ কর্মচারীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সচিবালয়ের ভেতরে একটি সংগঠন ও সচিবালয়ের বাইরে সাতটি সংগঠন কর্মচারীদের অধিকার আদায়ে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে। এসব সংগঠনগুলো বিভিন্ন সময়ে সরকারের কাছে পৃথক পৃথকভাবে তাদের দাবি উপস্থাপন করলেও সেটি উপেক্ষিত হয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে এ আটটি সংগঠনের নেতারা অহমিকা ভুলে এক মঞ্চে মিলিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ মে এ আটটি সংগঠনের নেতাদের নিয়ে গঠিত হয় সরকারি কর্মচারীদের সর্ববৃহৎ মোর্চা বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী জাতীয় পরিষদ। যা আজ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করলো।

এ সময় তিনি ‍সরকারি কর্মচারীদের অধিকার আদায়ে তিন দফা দাবিও তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী জাতীয় পরিষদের নেতাদের সাক্ষাতের সুযোগ দান, অবিলম্বে নবম জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়ন, নবম জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীনের জন্য ১০ থেকে ২০তম গ্রেডেভুক্ত কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্যভাতা দেওয়া।

এছাড়া বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী জাতীয় পরিষদের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারি কর্মচারীদের নিয়ে একটি ট্রাস্ট গঠন করা হবে বলেও জানান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আকতার হোসেন। যার নাম দেওয়া হবে সরকারি কর্মচারী জাতীয় কল্যাণ ট্রাস্ট। এ ট্রাস্টের মাধ্যমে অবসরপ্রাপ্ত অসহায় কর্মচারীদের আর্থিক সুবিধা দেওয়া, অসুস্থ কর্মচারীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, কর্মচারীদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষা বৃত্তি দেওয়া ও দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে নিরীহ মানুষদের সহায়তা দেওয়া হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান আকতার হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
এসসি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।