খুলনা: খুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা বেশ কয়েকটি দাবিতে ভুখা মিছিল করেছেন।
সোমবার (১৫ মে) দুপুরে মহানগরীর ফেরীঘাট এলাকা থেকে খালি মালসা হাতে নিয়ে শ্রমিকরা ভুখা মিছিল অংশ নেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের স্থায়ী শ্রমিকদের সঞ্চয়পত্র, ঈদের বোনাস, ছুটির পাওনা, শিক্ষা ভাতাসহ খালিশপুর, দৌলতপুর, জাতীয়, কেএফডি এবং আর আর জুটমিলের শ্রমিকদের সব বকেয়া ও রাষ্ট্রীয় পাটকল রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় চালুসহ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণের দাবিতে খালিশপুরের বিভিন্ন পাটকলের শ্রমিকরা এ মিছিল করেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের স্থায়ী শ্রমিকদের সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য পাওনা দাবি আদায় কমিটি এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
কমিটির সভাপতি শেখ মুহাম্মদ সাদেকুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন শেখের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্যে দেন সঞ্চয় কমিটির উপদেষ্টা শ্রমিক নেতা মো. আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সদস্য সচিব এস এ রশীদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জনার্দন দত্ত নান্টু, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নগর সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু, বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান খোকন, স্টার জুটমিলের শ্রমিক নেতা মো. মোমিন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমানে চাল-ডাল-তেল-গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি। অর্থের অভাবে তারা বয়স্ক বাবা-মার চিকিৎসা করাতে পারছে না। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ ঠিক মতো চালাতে পারছে না। টাকার অভাবে প্রায় এক মাস আগে চাকরি হারানো দুই শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেছেন। অথচ সরকার প্রতিনিয়ত দেশের উন্নয়নের কথা, স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছেন। রাস্তা-ঘাট, বড় বড় মার্কেট, হাইরাইজ বিল্ডিং, ফ্লাইওভার, সেতু নির্মাণের ফিরিস্তি দেওয়া হচ্ছে। পাটকল-চিনিকল বন্ধ করে শ্রমিক-কৃষকের পেটে লাথি মারা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য হু-হু করে বাড়ার ফলে শ্রমজীবীসহ সাধারণ মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়েছে। তাই আমাদের জোর দাবি, ঈদুল আজহার আগে পাটকল অবিলম্বে চালু ও সব পাওনা পরিশোধ করা হোক, নয়তো ঈদের পর এ উত্তপ্ত রাজপথে আগুনঝরা আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
এমআরএম/আরআইএস