ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নোয়াখালীর গ্রামের বাড়িতে সেনা সদস্য মাসুমের দাফন সম্পন্ন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৩ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২৩
নোয়াখালীর গ্রামের বাড়িতে সেনা সদস্য মাসুমের দাফন সম্পন্ন

নোয়াখালী: পার্বত্য চট্টগ্রাম বান্দরবানের রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) হামলায় নিহত সেনা সদস্য আলতাফ হোসেন মাসুমের (২৪) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। পরিবারের একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে মাসুমের মা-বোন এখন পাগলপ্রায়।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালী সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের পূর্ব লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে, এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহ চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালী এসে পৌঁছায়। পরে ক্যাপ্টেন সাদেকের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি চৌকষ দল মাসুমের সম্মানে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

এ সময় নোয়াখালী সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, ভাইস চেয়ারম্যান নূর আলম সিদ্দিকী রাজু, কাদির হানিফ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রহিমসহ মাসুমের স্বজনরা ও এলাকাবাসী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে মাসুমের মা শাহীনুর আক্তার রেখা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। জ্ঞান ফিরলেই তার জিজ্ঞাসা- মাসুম তো দেশের জন্য প্রাণ দিলো, এখন আমাদের কী হবে! কে দেখবে আমাদের!

পাঁচ বছর আগে ২০১৭ সালে মাসুমের বাবার মৃত্যু হয়। ওই বছর মাসুম সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দেন। সেই ছিল অসহায় পরিবারের একমাত্র অবলম্বন। তার ছোট বোন সানজিদা সুলতানা মিম গত বছর এইচএসসি পাশ করেছে।

মাসুমের পারিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনদিন আগেও মা-বোনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মাসুম। কিন্তু মঙ্গলবার (১৬ মে) বান্দরবানের রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) হামলায় তিনিসহ দুই সেনা সদস্য নিহত হন।

মাসুমের বড় মামা মো. জহির উদ্দিন শাহিন বলেন, আমার বোন-ভাগনিকে দেখার মতো আর কেউ রইলো না। আমার বাবা হারা ভাগিনা দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। সরকার যেন তাদের পরিবারের দিকে খেয়াল রাখে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।