টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক কিশোরীকে দিয়ে পতিতাবৃত্তি করার দায়ে এক দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ। পরে ভূঞাপুর থানায় তাদের নামে মানবপাচার ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়।
শুক্রবার (১৯ মে) সকালে গোপালপুর উপজেলার নলীন এলাকা থেকে ভুক্তভোগী কিশোরীসহ ওই দম্পতিকে আটক করে ভূঞাপুর থানায় সোপর্দ করে গোপালপুর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া গ্রামের হবি মন্ডলের ছেলে মিন্টু (৩৮) এবং তার স্ত্রী তানিয়া (৩২)।
অন্যদিকে উদ্ধার করা ওই কিশোরীর বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়। তাকে ভূঞাপুর থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, আসামি মিন্টু ভূঞাপুর পৌরসভার ফসলান্দি এলাকায় নুরুল ইসলামের বাসা ভাড়া নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নারী এনে পতিতাবৃত্তি চালাতেন। এহেন কর্মকাণ্ডে তার স্ত্রীও জড়িত। গত ২৩ মার্চ সাতক্ষীরা থেকে এক কিশোরীকে ভূঞাপুর এনে তাকে দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে পতিতাবৃত্তির কাজ করান অভিযুক্ত দম্পতি।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১৯ মে) মিন্টু ও তার স্ত্রী তানিয়া ওই কিশোরীকে গোপালপুরের নলীন এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যান পতিতাবৃত্তির জন্য। পরে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে ওই কিশোরীসহ অভিযুক্ত দম্পতিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে তারা।
এ ঘটনায় দুপুরে সাতক্ষীরার বাসিন্দা ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মিন্টু ও তার স্ত্রী তানিয়ার নামে মানবপাচার ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, ওই কিশোরীকে সাতক্ষীরা থেকে এনে মিন্টু ও তার স্ত্রী পতিতাবৃত্তি চালাতেন। এছাড়া তার স্ত্রীও পতিতাবৃত্তির কাজে জড়িত। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। শনিবার (২০ মে) তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
এছাড়া সাতক্ষীরা থেকে আনা ওই কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে বলেও জানান ওসি ফরিদুল।
তিনি আরও জানান, ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মিন্টু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। বর্তমানে তাদের থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৩
এনএস