ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

সাইবার জগতের ফাঁদ থেকে শিক্ষার্থীদের সতর্ক হতে আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
সাইবার জগতের ফাঁদ থেকে শিক্ষার্থীদের সতর্ক হতে আহ্বান

ঢাকা: সাইবার বা ভার্চুয়াল জগত ‘বড় ফাঁদ’ মন্তব্য করে তা থেকে সতর্ক হতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। শনিবার (২০ মে) রাজারবাগ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ডিএমপি পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি ও উচ্চশিক্ষা সহায়ক বৃত্তি-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

‘সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ হতে হবে’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ বাণীকে ধারণ করে ডিএমপি পরিবারের মেধাবী সন্তানদের অনুপ্রেরণা জোগাতে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জিপিএ-৫ পাওয়া ও মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থান পাওয়া ৯৩৩ জনকে ১ কোটি ১৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয় অনুষ্ঠানে। ডিএমপি ২০১৭ সাল থেকে এই মেধাবৃত্তি ও উচ্চশিক্ষা সহায়ক বৃত্তি দিয়ে আসছে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সাইবার বা ভার্চুয়াল জগত হলো বড় ফাঁদ। এই ফাঁদে কেউ যদি একবার ফেঁসে যায় তাহলে তার জীবনটাই শেষ হয়ে যাবে। জঙ্গি ও মাদকচক্র এ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে তরুণ প্রজন্মকে টার্গেট করছে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।

মেধাবী শিক্ষার্থী ও গর্বিত বাবা-মাকে অভিনন্দন জানিয়ে কমিশনার বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এই পুণ্যভূমি রাজারবাগ থেকেই থ্রি নট থ্রি রাইফেল নিয়ে দেশমাতৃকার টানে আত্মত্যাগ করেছেন আমাদের পূর্বসূরিরা। তোমরা সেই দেশপ্রেমিকের সন্তান। শুধু ভালো রেজাল্ট করলে হবে না, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।

অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সন্তান এ প্লাস পেয়েছে, ভালো জায়গায় স্থান পেয়েছে এজন্য আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না। আপনার সন্তান কোথায় যায়, কার সাথে মেশে সব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এ সময়টা অত্যন্ত পিচ্ছিল। তাদের স্বপ্নপূরণের জন্য এ পথ চলার হাতটা আরও শক্ত করে ধরতে হবে।

ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নাগরিক সেবা প্রদান করার পরও ডিএমপি পরিবারের সন্তানরা এতো ভালো রেজাল্ট করায় তিনি সন্তানের মায়েদেরকে ধন্যবাদ জানান। পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধনের গুরুত্ব উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, শত ব্যস্ততার মাঝেও সন্তানকে সময় দিতে হবে। তাদের সাথে খেলতে হবে, ঘুরতে যেতে হবে। আর বৃদ্ধ বয়সে পিতা-মাতার প্রতি খেয়াল রাখতে সন্তানদের অনুরোধ করেন তিনি।

যারা আশানুরূপ রেজাল্ট করতে পারেনি বা ভালো জায়গায় স্থান করতে পারেনি তাদেরকেও ভেঙে না পড়ে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত মেধাকে যথোপযুক্ত ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কর্ণধার হিসেবে গড়ে তুলতে আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। শিক্ষার্থীদের ভার্চুয়াল জগতে কম থেকে ক্লাসের বাইরেও বেশি বেশি বই পড়ার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা ও বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
পিএম/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।