ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সৎ ভাইকে হাতুড়িপেটা ও শ্বাসরোধে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
সৎ ভাইকে হাতুড়িপেটা ও শ্বাসরোধে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আব্দুস সাত্তার ফকির (৭০) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তারই সৎ ভাইয়ের বিরুদ্ধে।  

শুক্রবার (৯ জুন) রাতে সদর উপজেলার দেওভোগ গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১০ জুন) দুপুরে পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আক্তার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত সাত্তার ফকির সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দেওভোগ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় অটোরিকশা চালক ছিলেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- এসকেন্দার ফকিরের ছেলে ইমরান, বাবুল মোল্যার ছেলে মাসুম, দেলোয়ার মাদবরের ছেলে সিহাব। তাদের সবার বাড়ি একই এলাকায়। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৯ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আব্দুস সাত্তার ফকিরকে ডেকে নিয়ে নিয়ে যান তার ভাতিজা এসকেন্দার ফকির, মিলন ফকির, আরিফ ফকির ও সৎ ভাই কামাল ফকির। পরে হাতুড়ি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে তাকে জখম করা হয়। একপর্যায়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়। এসময় বাবার আর্তচিৎকার শুনে সাত্তার ফকিরের মেয়ে নিপা বাড়ি থেকে বের হয়ে এলে, তার চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা পালিয়ে যায়। অন্যদিকে, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই সাত্তার ফকিরের মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ এবং মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।  

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সালমা বেগম বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। যার মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহতের মেয়ে তানিয়া আক্তার বলেন, বাবুল মোল্যা, মিলন ফকির আর আরিফ ফকির আগে থেকেই বলেছে যে, আমার বাবাকে বাঁচতে দেবে না। এর আগে আমার ভাই শামিম ফকিরকে শবে বরাতে মেরেছে সিফাত, ইমরান ও মাসুদ মিলে। আমার ভাইকে মেরেও শান্তি পায়নি তারা। আমার বাবাকে নিয়ে গেল। আমি বাবার হত্যাকারীদের বিচার চাই।

নিহতের বোন ফরিদা বেগম বলেন, আমার ভাইকে কামাল ফকির ও তার ছেলেরা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার পর রাস্তায় ফেলে গেছে। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই।

এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মামলার প্রেক্ষিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।