ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিলেটে সাংবাদিক সমাজের মানববন্ধনে বক্তারা

‘সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ড স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২৩
‘সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ড স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়’

সিলেট: বাংলানিউজের জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সিলেটে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেল ৪টায় সিলেট সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নাদিম হত্যাকাণ্ড স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়।

এখনো মূল হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার হয়নি। এ কারণে গোটা দেশের সাংবাদিক সমাজ বিক্ষুব্ধ।

বক্তারা বলেন, হামলার ধরণ দেখেই বোঝা যাচ্ছে, সাংবাদিক নাদিমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। অপরাধীরা তাকে হত্যার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের আক্রোশ মিটিয়েছে। এর পেছনে ক্ষমতাসীন দলের ইউনিয়ন পর্যায়ের এক নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান জড়িত।  

সাংবাদিক নাদিম হত্যার সঙ্গে জড়িত হোতাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, যতদিন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার না করা হবে, ততদিন প্রতিটি সংগঠন আলাদাভাবে হোক আর একসঙ্গে হোক, প্রতিবাদ চালিয়ে যাবে।

সব সরকারের আমলেই সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যেন সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত।  

বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা যখনই সাহস করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম চালিয়েছেন, তখনই তাদের ওপর নির্যাতন, মামলা-হামলা হচ্ছে। সাংবাদিক গুম-খুন হচ্ছে।  

সাংবাদিক নেতারা বলেন, সাংবাদিক নাদিম হত্যার ঘটনা প্রমাণ করে আমরা এখনো আদিম যুগে রয়ে গেছি। দেশে সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রীকেই পদক্ষেপ নিতে হবে।

তারা বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা না থাকলে দেশের চলমান গণতন্ত্র সুসংহত হবে না। যে কারণে দ্রুত সাংবাদিক হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দল সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যাকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে নিয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম, এই সময়টাতে লেখার স্বাধীনতা থাকবে, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা থাকবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এর কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। সাংবাদিকরা যখনই সাহস করে লিখছেন, তখনই হামলা-মামলা, হত্যা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে তো অনেক কিছু দেখেন, আমরা প্রত্যাশা করি, আশা রাখি, সাংবাদিক হত্যার এই বিষয়টিও তিনি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন।   

বক্তারা বলেন, আমরা সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদ করছি, হামলাকারী-খুনীদের গ্রেপ্তারে দাবি জানাচ্ছি, তবুও কোনো ফল হচ্ছে না। তাহলে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা, জননিরাপত্তার বিষয়ে যে কথাগুলো বলা হয়, আদতে এগুলো সবই বোগাস!

এসময় সিলেটে বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট নাসির উদ্দিনের পরিচালনায় মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আল আজাদ, সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম নবেল, দৈনিক মানবজমিনের সিলেট ব্যুরো প্রধান ওয়েছ খছরু, ইউএনবির সিলেট প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ মহসীন, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (ইমজা) সভাপতি মাহবুবুর রহমান রিপন, সাধারণ সম্পাদক গোলজার আহমদ, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেটের সভাপতি শেখ আশরাফুল আলম নাসির।  

মানববন্ধন ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক যুগান্তরের ব্যুরো প্রধান সংগ্রাম সিংহ, প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার সিলেট ব্যুরো প্রধান চয়ন চৌধুরী, একাত্তরের কথার বার্তা সম্পাদক ও জেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সাঈদ চৌধুরী টিপু, সাংবাদিক ময়নুল হাসান টিটু, জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক ও সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, দৈনিক সিলেটের ডাকের সিনিয়র রিপোর্টার কাউসার চৌধুরী, চ্যানেল আই সিলেটের স্টাফ রিপোর্টার সাদিকুর রহমান সাকি, এনটিভির ক্যামেরাপার্সন ও ইমজার সাবেক সেক্রেটারি আনিস রহমান, কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক ইয়াহইয়া ফজল, নিউজ টোয়েন্টিফোর সিলেটের স্টাফ রিপোর্টার সৈয়দ রাসেল, সিলেটের ডাকের স্টাফ রিপোর্টার ছাদেক আহমদ আজাদ, দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার ফয়জুর রহমান, বণিক বার্তার নিজস্ব প্রতিবেদক নুর আহমেদ, আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ইয়াহইয়া মারুফ, উইমেন্স জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুবর্ণা হামিদ, বাংলানিউজের ফটো করেসপন্ডেন্ট মাহমুদ হোসেন, প্রথম আলোর নিজস্ব আলোকচিত্রী আনিস মাহমুদ, ঢাকা পোস্টের সিলেট প্রতিনিধি মাসুদ আহমদ রণি, সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার শাহ শরীফ উদ্দিন, ডেইলি বাংলাদেশের নিজস্ব প্রতিবেদক আহমেদ জামিল, বাংলানিউজের শাবিপ্রবি প্রতিনিধি হাসান নাঈম, সমকালের ফটো সাংবাদিক ইউসুফ আলী, শ্যামল সিলেটের স্টাফ রিপোর্টার আতিকুর রহমান নগরী, একাত্তর টিভির সিলেট প্রতিনিধি সাকিব আহমদ মিঠু, ড্রিম সিলেটের সম্পাদক শেখ আব্দুল মজিদ, একাত্তরের কথার ফটো সাংবাদিক ও সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের স্পোর্টস সম্পাদক মিঠু দাস জয়, যমুনা টেলিভিশনের রিপোর্টার নাবিল রহমান ও ক্যামেরা পার্সন আহমেদ শাহীন, ফোকাস বাংলার ফটো সাংবাদিক এইচএম শহিদুল ইসলাম, নতুন সিলেটের ডেপুটি এডিটর জাকির হোসেন, সাংবাদিক মুহাজিরুল ইসলাম রাহাত, শ্যামল সিলেটের ফটো সাংবাদিক আজমল আহমদ, রেজওয়ান আহমদ, বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমের সিলেট প্রতিনিধি বাপ্পা মৈত্র, সময় টিভির ক্যামেরাপার্সন নওশাদ চৌধুরী, নিউজটোয়েন্টিফোর টিভির ক্যামেরাপার্সন শফি আহমদ, সিলেট প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার মোশাহিদ আলী, সিলেটভিউটোয়েন্টিফোর ডটকমের ফটো সাংবাদিক পল্লব ভট্রাচার্য, সিলেটভিউটোয়েন্টিফোর ডটকমের স্টাফ রিপোর্টার কামরুল ইসলাম মাহি, কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ তোফায়েল আহমদ শেফুল, দৈনিক শ্যামল সিলেটের সহকারী বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপক আব্দুল কাদির, সামাজিক সংগঠন সলিডারিটি মুভমেন্টের সাজ্জাদুর রহমান সাজু, আবু বকর সিদ্দিক, মো. আকমল হোসেন, নিউজক্লিকের রিপোর্টার রুমান আহমদ চৌধুরী, নিউজ ক্লিকবিডি ডটকমের মাল্টিমিডিয়া পার্সন জাহাঙ্গীর আলম, সিলেট প্রতিদিনের ফটো সাংবাদিক রেজা রুবেল ও জাকির হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২৩
এনইউ/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।