ঢাকা: মুসলিমদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-আজহা, আর আত্মত্যাগের মহিমা নিয়ে আসা এই ঈদের অন্যতম অংশ পশু কোরবানি। তাই সারা দেশের মতো রাজধানীর স্থায়ী-অস্থায়ী হাটগুলোরত এরই মধ্যে গরু, ছাগল, ভেড়া উঠেছে ব্যাপক হারে।
সোমবার (২৬ জুন) রাজধানীর মেরাদিয়ায় অস্থায়ী পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকাহাঁকি-ডাকাডাকিতে হাট সরগরম।
জামালপুর থেকে গরু নিয়ে এসেছেন মো. খোকন বেপারী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের পারিবারিক ব্যবসা এটা। আমিসহ আমার আরও ৩ ভাই রাজধানীর শাজাহানপুর, গাবতলীসহ কয়েকটি হাটে গরু নিয়ে গেছে। আমি মোট ২৭টি গরু নিয়ে এসেছিলাম। ৮টা গরু বিক্রি হয়েছে এখন পর্যন্ত। যে সময় আছে, আশাকরি বাকিগুলোও বিক্রি হয়ে যাবে।
ঈদের আগে বিক্রি না হলে কী করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে আমরা সারাবছরই গরু লালন-পালন করি। এটাই আমাদের ব্যাবসা। বিক্রি না হলে পরে আবার স্থানীয় বাজারে বিক্রির চেষ্টা করব।
একই হাটে কথা হয় আরেক ব্যবসায়ী হারুনুর রশীদের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মাদারীপুরের শিবচর থেকে গরু নিয়ে এসেছি। মূলত স্থানীয় বাজার থেকে কিছুটা বাড়তি দামের আশাতেই এখানে নিয়ে আসা। আমি গরু নিয়ে এসেছিলাম ১১টি, আর ১৮টি ছাগল। এর মধ্যে ৫টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে। ৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। আর ছাগল বিক্রি হয়েছে ৩টি।
হাটে কথা হয় গরু কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী নুরুজ্জামানের সঙ্গে। বাড্ডা এলাকার এই বাসিন্দা বাংলানিউজকে বলেন, আমি ৮৮ হাজার টাকায় একটা গরু কিনেছি। নেওয়ার কথা হচ্ছে আগামীকাল (২৭ জুন)। আজ (২৬ জুন) কিনে রাখলাম শুধু, ব্যাপারী আমার পরিচিত। এ বছর পশুর দাম কিছুটা বেশিই মনে হচ্ছে অন্যান্যবারের তুলনায়।
বাজারে গরু, ছাগলের পাশাপাশি ভেড়া, দুম্বা, মহিষ, গয়ালও দেখা গেছে অল্পবিস্তর। বিক্রেতাদের প্রত্যাশা ঈদকে সামনে রেখে বিক্রি হয়ে যাবে তাদের আনা পশুগুলো। আর ক্রেতারা প্রত্যাশা করছেন সহনীয় ও নায্যমূল্যে তারা কোরবানির পশুটি কিনতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৩
এমকে/এমএমজেড