ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আসামিরা জেলে থাকলে চুরি-ডাকাতি হবে না: ডিএমপি কমিশনার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
আসামিরা জেলে থাকলে চুরি-ডাকাতি হবে না: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা: পেশাদার আসামিরা জেলের মধ্যে থাকলে ফাঁকা ঢাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের ঘটনা তেমন একটা ঘটবে না বলে জানান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।  

মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে আসন্ন ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

 

তিনি আরও বলেন, গত একমাস যাবত পেশাদার অপরাধী সিঁদেল চোর, ছিনতাইকারী, মলম ও অজ্ঞান পার্টিদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছি। আজকে পর্যন্ত ৬০০ জন পেশাদার অপরাধী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঈদের আগে যেন আসামিদের জামিন না হয়, সে ব্যবস্থার চেষ্টা করব।  

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ফাঁকা ঢাকাতে উঠতি বয়সের অনেক তরুণরা মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারের রেসিং করেন। আমি এই বিষয়ে কঠোরভাবে বলছি, এই ধরনের রেসিং করবেন না। ফাঁকা রাস্তায় যেন এই ধরনের রেসিং না করতে পারে সেজন্য ব্যারিকেট তৈরি করে জিগজ্যাক গতিতে গাড়ি চালানোর ব্যবস্থা করব।

সড়ক দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর ঈদের পরে সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হয়। এই দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে আমরা দেখেছি যে, ড্রাইভাররা ট্রিপ নিয়ে বাড়িতে রেস্টে থাকেন। হেল্পারদের গাড়ি দিয়ে দুই চারটা ট্রিপ মারতে বলেন। হেলপারা যখনই বাস-ট্র্যাক নিয়ে রাস্তায় বের হয়, তখনই বড় ধরনের দুর্ঘটনা হয়।  

পরিবহণ মালিক সমিতির নেতাদের বলবো, ঈদের পরে যে কয়দিন ড্রাইভার ছুটিতে থাকবে সে কয়দিন যেন গাড়ি বন্ধ থাকে। কোনো হেল্পার যেন গাড়ি নিয়ে রাস্তায় না নামে। কোনো দুর্ঘটনা যেন না ঘটে এ বিষয়ে আপনারা সচেষ্ট থাকবেন। গত ঈদে আমরা সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণ অনেক কমিয়ে নিয়ে এসেছি। আশা করব এই ঈদে দুর্ঘটনা পরিমাণ কমে আসবে।  

গরুর হাটের বিষয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরে খোলা মাঠ তেমন একটা নেই। তারপরও ঢাকাবাসীর সুবিধার্থে আমাদের দুই মেয়র ২১টি গরুর হাটের ব্যবস্থা করেছেন। আমাদেরকে গরুর হাট ম্যানেজ করেই যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। গাবতলীর হাটে দেখবেন গরুর জন্য গাড়ি চলাচলের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। হাটের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি হাটে হাসিল ঘরে টাকা দেওয়াসহ জাল টাকা শনাক্ত করার জন্য মেশিনের ব্যবস্থা করেছি।

তিনি আরও বলেন, গরু ব্যবসায়ীদের নগদ টাকা নিয়ে যেন বাড়ি যেতে না হয় সেজন্য অস্থায়ী ব্যাংকের ব্যবস্থা করেছি। হাটগুলোতে অজ্ঞান ও মলম পার্টির দ্বৈরত্ব যেন না থাকে সেজন্য আমরা সচেতন বৃদ্ধি করেছি। কোরবানির ঈদ আসলে জাল টাকা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা শুরু হয়। এ বিষয়ে আমরা অত্যন্ত সতর্ক। গত পরশুদিন পুলিশ জাল ২ কোটি টাকাসহ চক্রটিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।  

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ঈদুল আজহায় তিনগুণ চ্যালেঞ্জ। ঈদুল ফিতরে শুধুমাত্র ঘরমুখো মানুষ ছিল। এখন (ঈদুল আজহায়) ঘরমুখো মানুষ আছে উল্টো দিক থেকে গরুর গাড়ি ও রাজশাহী ও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ফলবাহি গাড়ি আসছে। এ কারণে আমাদের চ্যালেঞ্জ একটু বেশি। এর সঙ্গে আরেকটি পরিবেশ যোগ হয়েছে সেটা হচ্ছে বৃষ্টি। চতুর্মুখী চাপ থাকা সত্ত্বেও সবার সার্বিক সহযোগিতায় সবকিছু ঠিক আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
এমএমআই/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।