ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শেষ সময়ে কদর বেড়েছে কাঠের গুঁড়ির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
শেষ সময়ে কদর বেড়েছে কাঠের গুঁড়ির

রাজশাহী: আগামী বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। তাই কোরবানির পশু কেনার পর এ ঈদের অন্যতম অনুষঙ্গ কাঠের গুঁড়ি বা খাইট্টা।

ঈদের আগের দিন এ কাঠের গুঁড়ির চাহিদা প্রতিবছরই বেড়ে যায়।  

এ বছরও তার চুল ব্যতিক্রম হয়নি। বুধবার (২৮ জুন) ঈদের আগের দিন সকাল থেকে মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে এর পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

মহানগরীর নওদাপাড়া, শালবাগান ও লক্ষ্মীপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার ওপর বা রাস্তার পাশে বিভিন্ন আকৃতির কাঠের গুঁড়ি থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই তেঁতুলগাছের তৈরি। রাজশাহীতে এবার এগুলো বিক্রি হচ্ছে কেজি হিসেবে।

সাধারণত ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কোথাও কোথাও এর চেয়েও বেশি দামেও বিক্রি হচ্ছে। তেঁতুলগাছের কাঠ অপেক্ষাকৃত শক্ত হওয়ায় কোরবানির মাংস কাটার কাজে সবাই এ গাছের কাঠের গুঁড়িই বেশি ব্যবহার করে থাকেন।  

কোরবানির ঈদ এলে এর চাহিদা বেড়ে যায়। এছাড়া সারা বছরই মাংস ব্যবসায়ীরা এ কাঠের গুঁড়ি ব্যবহার করে থাকেন। তাই কোরবানি ঈদের আগে শহরের মোড়ে মোড়ে এভাবেই গুঁড়ি বিক্রি করতে দেখা যায়।

ঈদ উপলক্ষে বুধবার সকালে মহানগরীর শালবাগান এলাকায় থাকা হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন ভবনের সামনে ও শালবাগান বাজারের পাশে বিভিন্ন আকৃতির কাঠের গুঁড়ি বিক্রি করতে দেখা যায়।  

এখানে কথা হয় মৌসুমি ব্যবসায়ী শরিফুলের সঙ্গে। তিনি গত পাঁচ বছর ধরে ঈদ মৌসুমে কাঠের গুঁড়ি বিক্রি করেন। তার কাছে ২০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন আকৃতির কাঠের গুঁড়ি পাওয়া যাচ্ছে। তার বাড়ি আসাম কলোনি এলাকায়। তার খড়ির ব্যবসা আছে। ঈদ মৌসুমে তারা তেঁতুলগাছের কাঠ থেকে গুঁড়ি বানিয়ে বিক্রি করেন।  

কেনাবেচা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বছরের অন্য সময়ে কাঠ-খড়ির ব্যবসা করেন। আর কোরবানির ঈদ এলেই কেবল ৬/৭ দিন তারা এমন কাঠের গুঁড়ি বিক্রি করেন।

আগে সাইজ অনুযায়ী বিক্রি হলেও এবার ঈদে কেজি হিসেবে কাঠের গুঁড়ি বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা। যারা গরু কোরবানি দেন, তারাই মূল ক্রেতা বলে জানান তিনি।

শরিফুল জানালেন, প্রকৃতি থেকে তেঁতুলগাছ দিন দিন কমে যাচ্ছে। আগের মতো এখন আর তেঁতুলগাছ পাওয়াই যায় না। আর তেঁতুলগাছের কাঠ দিয়ে আসবাব হয় না বলে গুঁড়ি বানানো হয়। তাই এখন কেউ আর এ গাছ তেমন লাগান না। সরবরাহও কম।

মহানগরীর নওদাপাড়া বাজার এলাকার ব্যবসায়ী রবিউল আলম। রবিউল জানান, তিনিও অন্য সময় খড়ির ব্যবসা করেন। তবে কোরবানির ঈদে মাত্র এক সপ্তাহের জন্য এ কাঠের গুঁড়ির ব্যবসা করেন। তেঁতুলগাছের কাঠ শক্ত। তাই মাংস কাটার গুঁড়ি বা খাইট্টার জন্য বেশিরভাগ মানুষই এটার খোঁজ করেন। অন্য গাছের গুঁড়ি ধারালো অস্ত্রের আঘাতে টুকরো হয়ে যায়। আর চাপ্পরের সঙ্গে লেগে যায়। এ কারণে মাংস কাটার কাজে তেঁতুল কাঠের খাইট্টাই বেশি পছন্দ সবার।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।