ঢাকা: গত ২-৩ দিন ধরে থেমে-থেমে বৃষ্টি হচ্ছে সারাদেশে। রাজধানী ঢাকাতেও সে একই দৃশ্য।
বুধবার (২৮ জুন) রাজধানীর আফতাবনগর পশুরহাট ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
হাট ঘুরে আরও দেখা গেছে, কিছু-কিছু জায়গায় ত্রিপল বা শামিয়ানা টানানো হলেও বৃষ্টির তুলনায় সেটি অপর্যাপ্ত। ফলে, দূর-দুরান্ত থেকে পশু নিয়ে আসা বেপারীরা নিজের গা বাঁচাতেই হিমশিম খাচ্ছেন। ভিজে-ভিজেও তাই পশুর রশি ধরে দাঁড়িয়ে আছেন কেউ-কেউ।
জামালপুর থেকে গরু নিয়ে আফতাবনগর হাটে এসেছেন আবদুল হালিম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আজ ঈদের আগে শেষ হাটের দিন। গরু নিয়ে এসেছি ২১টা। আমার সঙ্গে আরও ২ জন এসেছে। এরমধ্যে ৬টা গরু বিক্রি হয়েছে। বাকি গরুগুলো নিয়ে বেকায়দায় আছি। বৃষ্টি-কাদার জন্য হাটে বেচাকেনা কম। ক্রেতারা আসতে পারছেন না। আজকে আশা করি বৃষ্টি কমলে হাট জমজমাট হবে।
আরেক ব্যবসায়ী রইছ উদ্দিন এসেছেন সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে। তিনি গরুর পাশাপাশি ছাগল নিয়ে এসেছেন। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ৪ থেকে ৫ জন লোক এসেছি আমরা। এখনও সবগুলো পশু বিক্রি হয়নি। এখন বৃষ্টিতে পড়েছি বেকায়দায়। আজ সবগুলো বিক্রি না হলে ঝামেলায় পড়ব। এগুলো নিয়ে আসতে যে খরচ হয়েছে, সেটি তুলতে পারবো কিনা সন্দেহ আছে।
এদিকে, শেষ দিনে নিজের পছন্দের পশুটি কিনতে হাটে এসেছেন অনেকেই। বৃষ্টিতে ভিজলেও হাসিমুখে নিজের পছন্দের পশুটি কিনেছেন অনেকেই। তেমনই একজন সাইফুল ইসলাম অনিক। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, গরু কিনতে হাটে এসেছিলাম। একটি গরু কিনেছি ৯০ হাজার টাকায়। এ বছর গরুর দাম একটু বেশি।
আফতাবনগর পশুর হাটের ভলান্টিয়ার শেখ সাদী বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকেই বৃষ্টির জন্য মানুষের একটু দুর্ভোগ হচ্ছে। তবে, আমরা চেষ্টা করছি যাতে ভোগান্তি কম হয়। বাজারে লিটার ছিটানো হয়েছে। বালুও দেওয়া হয়েছে কিছু-কিছু জায়গায়।
এ বাজারের বিক্রেতাদের প্রত্যাশা তারা পশুগুলো বিক্রি করেই বাড়ি ফিরবেন। আর ক্রেতারাও চান ভোগান্তি পেরিয়ে নিজের পছন্দের পশুটি নিয়ে বাড়ি ফিরবেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
এমকে/জেএইচ