কুমিল্লা: যুব মহিলা লীগের নরসিংদী জেলা কমিটির বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়াকে গাজীপুর থেকে কুমিল্লা কারাগারে নেওয়া হয়েছে। গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে এক হাজতিকে নির্যাতনের অভিযোগে তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
সোমবার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাপিয়াকে প্রিজন ভ্যানে করে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।
কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে ৪০ মাস ধরে বন্দী ছিলেন পাপিয়া। তিনি ২৭ বছররের সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
কারা সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা কারাগারে মহিলা হাজতির জন্য যে কয়েকটি কাজ আছে, তার মধ্যে ঝাড়ু দেওয়া, কাঁথা সেলাই কিংবা মোড়া তৈরির মতো হস্তশিল্পের কাজ রয়েছে। পাপিয়াকে এসবের যেকোনো একটি দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, আমি ছুটিতে আছি। আগামী শনিবার (৮ জুলাই) অফিস করব। তখন তাকে কী দায়িত্ব দেওয়া হবে, সে সময় সিদ্ধান্ত নেব।
কুমিল্লা কারাগারের একটি সূত্র বলছে, সোমবার রাতে পাপিয়াকে কুমিল্লা কারাগারের আনার পরই তাকে নারী ওয়ার্ডে রাখা হয়। এ কারাগারে দুটি নারী ওয়ার্ড আছে। ছোট ওয়ার্ডে গর্ভবতী ও সন্তানসহ নারী হাজতিদের রাখা হয়। বড়টিতে রাখা হয় অন্য নারী হাজতিদের। সেখানে ৪০-৫০ জন কয়েদি থাকেন। এই ওয়ার্ডেই তিনি রাত পার করেন। তার জন্য অন্যদের মতো স্বাভাবিক সব খাবার সরবরাহ করা হয়। এ সময় তার আচার আচরণের ওপর বিশেষ নজরদারি রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, ২৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে জেলবিধি অনুযায়ী পাপিয়াকে ‘রাইটার’ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এদিকে নথি চুরির একটি মামলায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী রুনাকে ১৬ জুন কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আনা হয়। কারাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে নেওয়ার পর তার শরীর তল্লাশি করে কর্তব্যরত মেট্রন তার কাছে ৭ হাজার ৪০০ টাকা পান। ওই টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পাপিয়া ও তার সহযোগী কয়েদিরা গত ১৯ জুন রুনার ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করেন বলে অভিযোগ তার পরিবারের।
** কাশিমপুর থেকে কুমিল্লা কারাগারে পাপিয়া
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২৩
এসআরএস