ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

যে কারণে শপথ নিলেও দায়িত্ব নিতে পারছেন না রাজশাহীর মেয়র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২৩
যে কারণে শপথ নিলেও দায়িত্ব নিতে পারছেন না রাজশাহীর মেয়র

রাজশাহী: আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করলেও এখনই দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারছেন না রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এজন্য আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে পুনঃনির্বাচিত মেয়র লিটনকে।

বিধি অনুযায়ী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য গত ২১ মে মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। এরপর ২১ জুনের নির্বাচনে পুনঃনির্বাচিত হন। এরপর ৩ জুলাই সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলায় আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান। এরপরে সিটি করপোরেশনের সাধারণ ওয়ার্ডের ৩০ জন নবনির্বাচিত কাউন্সিলর ও ১০ সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলররাও একই স্থানে শপথ নেন। স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম কাউন্সিলরদের শপথবাক্য পাঠ করান।

কিন্তু নবনির্বাচিতরা শপথ নিলেও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) নির্বাহী দায়িত্ব পালন করছেন- প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন (যুগ্ম সচিব)।

বিষয়টি জানতে চাইলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু বলেন, এর আগের নির্বাচনে অর্থাৎ ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনের পর ওই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর খায়রুজ্জামান লিটন শপথ নিয়েছিলেন। এর ঠিক এক মাস পর, অর্থাৎ ৫ অক্টোবর তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।

সিটি করপোরেশন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচিত নতুন মেয়র ও কাউন্সিলরদের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম সাধারণ সভা যেদিন অনুষ্ঠিত হয়, সেদিন থেকে তাদের পাঁচ বছর মেয়াদকালের সীমা শুরু হয়। ২০১৮ সালে ওই পরিষদের প্রথম সভা হয়েছিল ১১ অক্টোবর। সেই হিসেবে নতুন পরিষদ শপথ নিলেও এই বছরের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত আগের পরিষদের কাউন্সিলরদের মেয়াদ আছে। বর্তমান কাউন্সিলরা ১১ অক্টোবর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। তাই নিয়ম অনুযায়ী আগামী ১২ অক্টোবর থেকে নির্বাচিত সিটি মেয়র ও কাউন্সিলররা দায়িত্ব নিতে পারবেন।

এর আগে গত ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট পেয়ে পুনঃনির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা মো. মুরশিদ আলম। তার দল নির্বাচন বয়কট করলেও হাত পাখা প্রতীকে তিনি পেয়েছিলেন ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট। ভোটের হার ছিল ৫৬ দশমিক ২০ শতাংশ।

এ নিয়ে তৃতীয়বারের মত মেয়র হন খায়রুজ্জামান লিটন। এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন তালা প্রতীকে ৯৮ হাজার ৩৬০টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপি সমর্থিত মোসাদ্দেক হেসেন বুলবুল বাঘ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোট। সেবার ভোট পড়ে ছিল ৮১ দশমিক ৬১ শতাংশ।

২০১৩ সালে ১৮ দলীয় জোটের সমর্থনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ৪৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে পরাজিত করেন। ওই বছর ভোট পড়েছিল ৭৬ দশমিক ০৯ শতাংশ।

এরপর সর্বশেষ ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীকে পেয়েছিলেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট। ২০১৮ সালে ভোট পড়েছিল ৭৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২৩
এসএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।