ফেনী: মাজারে সিজদা ও ওরশ সম্পর্কে ‘নেতিবাচক’ বয়ান দেওয়ায় চাকরি হারালেন মসজিদের খতিব মাওলানা মো. আয়াতুল্লাহ ইরফান।
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার দৌলতকান্দি আবুল মামার দরবার শরীফ জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী খতিব বাদী হয়ে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনের বিরুদ্ধে সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেলে থানার এসআই ছায়েদুল হকের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয়রা জানান, মাসখানেক আগে জুমার নামাজের বয়ানে মাজারে সেজদা ও ওরশ সম্পর্কে বয়ান করেন খতিব। এতে দরগা মাজারপন্থী মুসল্লিরা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। গত ২১ জুন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন খতিবকে ঢেকে পরবর্তী জুমা থেকে মসজিদে না আসতে অনুরোধ করেন। অব্যাহতির আগে খতিবকে ২ মাসের অগ্রিম বেতন দেওয়ার কথাও জানানো হয়। ওইদিন খতিব তাকে অব্যাহতির বিষয়ে জানতে চাইলে দুইপক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে থানায় অভিযোগ করেন খতিব।
এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে মঙ্গলবার দুপুরে খতিব কাউন্সিল বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান মুফতি শামীম মজুমদার, মহাসচিব মাওলানা শরীফ উল্লাহ তারেকী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন৷ এ সময় খতিবকে অন্যায়ভাবে অপসারণ করা হয়েছে দাবি করে এ ঘটনার নিন্দা জানান তারা।
আবুল মামার দরবার মসজিদের মুসল্লি জসিম উদ্দিন জানান, হুজুর জুমার বয়ানে মাজার ও ওরশের বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার পর মুসল্লিদের একাংশ তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়। তবে একটি অংশ হুজুরের বক্তব্যকে সমর্থন করেন। এ নিয়ে দুপক্ষে হট্টগোল হয়।
আবুল মামার দরবার জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ বলেন, খতিব তার বয়ানে ধর্মীয় বিতর্কিত বক্তব্য প্রদান করে আসছেন। তাকে মৌখিকভাবে বারবার বললেও তিনি সংশোধন না হওয়ায় তাকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে অব্যাহতি দিলেও তাকে আগামী ২ মাসের অগ্রিম বেতন প্রদান করা হবে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন দাইয়ান জানান, খতিবের লিখিত অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২৩
এসএইচডি/জেএইচ