ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ডেঙ্গু রোধে জনসচেতনতায় গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার: মন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৩
ডেঙ্গু রোধে জনসচেতনতায় গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার: মন্ত্রী

ঢাকা: ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণের সচেতনতাকেই সরকার বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, পৃথিবীতে এটা প্রমাণিত সত্য, জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ সমস্যাকে মোকাবিলা করা সম্ভব।

সারা পৃথিবীতেই এমনটি করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও বাংলাদেশসহ সব দেশই এই কাজ করে।

রোববার (৯ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

২০১৯ সালের চেয়েও পাঁচগুণ বেশি মানুষ এ বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। প্রথম থেকে ব্যবস্থা নিলে এমন অবস্থা হতো কিনা জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও সমসাময়িক অনেক দেশে দীর্ঘদিন ধরে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। বাংলাদেশে ২০১৯ সালে মাত্রাতিরিক্ত প্রাদুর্ভাব দেখেছি। তখন তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। যে কারণে পরবর্তী বছরগুলোতে ডেঙ্গু সংক্রমণ কমেছিল। গত বছরে ৪০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপরেও সমসাময়িক দেশগুলোর তুলনায় আমাদের আক্রান্ত ছিল অনেক কম। এ বছরেও সাড়ে ১২ হাজার মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

তিনি বলেন, থেমে থেমে বৃষ্টি হলে মশার প্রজনন বাড়ে। এডিস মশা ডেঙ্গু রোগের বাহক। কাজেই এ মশার পরিমাণ যত বাড়বে, তারপর এগুলো যদি বেশি মানুষকে কামড়াতে পারে, তাহলে ডেঙ্গু বেশি ছড়াবে। আমরা জনগণকে এরইমধ্যে একটা অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছি। পৃথিবীতে এটা প্রমাণিত সত্য, জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ সমস্যাকে মোকাবিলা করা সম্ভব। ২০১৯ সালের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পরের বছর থেকে ধারাবাহিকভাবে অন্যদের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে রাখতে পেরেছি।

মন্ত্রী বলেন, এবারের ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবটা আমাদের জন্য মোটেও সুখকর না। মশার ডিম যখন থাকে, তখন এটিকে মারা যায় না, তবে তখন যদি পানি ফেলে দেওয়া যায়, তাহলে সম্ভব হবে। ডিম তো আর দেখা যায় না। ভারী বৃষ্টিতে ডিমগুলো ভেসে ড্রেনে চলে যায়। এতে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমে। কিন্তু যখন থেমে থেমে অল্প অল্প বৃষ্টি হবে, তখন পানি জমে থাকে। যেখানে যেখানে পানি জমে থাকবে, সেখানে ডিম থাকলে বা কোনো এডিস মশা যদি ডিম পাড়ে, তাহলে লার্ভা হবে। সেই লার্ভা অবস্থা থেকে এটিকে মারার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছি।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, মশা মারতে সিটি করপোরেশনের কাছে কী পরিমাণ জীবানুনাশক ও যন্ত্রপাতি আছে, তা আমরা মূল্যায়ন করেছি। তাদের কাছে এসব যথেষ্ট পরিমাণ আছে। এডিস মশা মারতে তাদের পর্যাপ্ত টাকা-পয়সাও দেওয়া হয়েছে। ঈদের সময় মানুষ বাড়িঘর বন্ধ করে চলে যায়। এই পাঁচ-সাতদিনে সেখানে এডিস মশার প্রজনন হতে পারে। এজন্য সবাইকে ঘরদোর পরিষ্কার করে রাখতে বলা হয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২৩
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।