ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বস্তা ভরে হাসপাতালের চাল-মাছ চুরির সময় নানি-নাতি আটক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২৩
বস্তা ভরে হাসপাতালের চাল-মাছ চুরির সময় নানি-নাতি আটক

চাঁদপুর: চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চাল, ডাল, সবজি, মাছ, মাংসসহ বিভিন্ন রসদ চুরি হতো প্রায়ই। চুরির বিষয়টি সবার মুখে মুখে থাকলেও ধরা পড়েনি চোর।

 

জেলা ও আশপাশের জেলার অনেক রোগীই চিকিৎসা নিতে আসেন এ হাসপাতালে। আর ভর্তি হওয়া রোগীদের খাবার পরিবেশন করা হয় ঠিকাদারের মাধ্যমে।  রোগীদের প্রতিদিনের বরাদ্দের রসদ থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন রেজিয়া বেগম ও তার নাতি শাকিল।  রেজিয়া হাসপাতালের বাবুর্চির সহযোগী।  

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেলে হাসপাতালের পূর্ব দিকের গেটে মাছ, চাল ও আলু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীদের হাতে আটক হন তারা। এসময় নাতি শাকিলকে স্থানীয় উত্তেজিত লোকজন মারধরও করেন। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।

স্থানীয়রা জানান, বিকেলে হাসপাতালের পূর্ব দিকের গেট দিয়ে রান্নাঘর থেকে বাবুর্চি রেজিয়া বেগম ও তার নাতি শাকিল বস্তায় করে প্রায় ১০ কেজি রুই মাছ, চাল, প্রায় ১০ কেজি আলু ও পাউরুটিসহ রোগীদের বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী অন্যত্র বিক্রি করতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় অ্যাম্বুলেন্সচালক কাউসার ও রাজ্জাকসহ কয়েকজন তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে তাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে নেওয়া হয়।  

জিজ্ঞাসাবাদে নানি-নাতি বলেন, রোগীদের খাবার চুরি করে অন্যত্র বিক্রি করার সঙ্গে ঠিকাদাররাও জড়িত।

এ বিষয়ে ঠিকাদার সঞ্জিত পোদ্দার বলেন, আমরা নিয়মিত রোগীদের ভালো খাবার দেওয়ার চেষ্টা করি। হাসপাতালের রোগীরা যাতে ভালো এবং পরিপূর্ণ খাবার পান, সেটা আমরাও চাই। কিন্তু চুরির কারণে হয়তো রোগীরা সঠিক খাবার থেকে বঞ্চিত হন। যার কারণে আমাদের ঠিকাদারদের অনেক বদনাম রটে। আমি দীর্ঘদিন ধরে তাদের এমন খাবার চুরি করার অভিযোগ পেয়েছি। আমি তাদের অনেক সতর্ক করেছি। আমি তাদের কঠিন শাস্তি চাই।

এদিকে খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ এসে শাকিলকে থানায় নিয়ে যান।

স্থানীয় বাসিন্দা বাবু, অ্যাম্বুলেন্সচালক কাউসার ও রাজ্জাক বলেন, আমরা জেনেছি, রেজিয়া ও তার নাতি প্রায় প্রতিদিনই এভাবে রোগীদের মাছ, মাংস, চাল, ডালসহ বিভিন্ন খাবার সামগ্রী চুরি করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ও হোটেলে বিক্রি করে থাকেন। তাই আমরা তাদের দীর্ঘক্ষণ পাহারা দিচ্ছিলাম। বিকেলে চুরির মাল অটোরিকশায় তোলার সময় তাদের হাতেনাতে আটক করি।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার আসিবুল আহসান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। তাদের ব্যাপারে কঠিন পদক্ষেপ নেব। এছাড়া ভবিষ্যতে যেন আর এমন ঘটনা না ঘটে, সেজন্য তাদের কাউকেই রান্না ঘরের চাকরিতে রাখব না। তাদের সবাইকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।