ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বালু নিতে যমুনার বাঁধ কেটে বসানো হয়েছে পাইপ!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২৩
বালু নিতে যমুনার বাঁধ কেটে বসানো হয়েছে পাইপ!

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের ৫০০ মিটার এলাকার মধ্যে পাঁচ জায়গায় বালু সরবরাহের পাইপ স্থাপন করা হয়েছে।  

বালু ব্যবসায়ীরা এভাবে পাইপ বসানোর ফলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বাঁধটি।

বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে কোনো মুহূর্তে বাঁধটি ভেঙে সিরাজগঞ্জ শহরসহ অন্তত পাঁচটি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।  

এদিকে পাইপ স্থাপন বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর।  
  
ওই এলাকায় গিয়ে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার  ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রানীগ্রাম থেকে গুণেরগাঁতী লেবুর মোড় পর্যন্ত ৫০০ মিটার যমুনার তীর সংরক্ষণ বাঁধের পাঁচটি স্থানে স্থাপন করা হচ্ছে পাইপ। এসব পাইপ দিয়ে যমুনা নদী থেকে তুলে নির্দিষ্ট স্থানে স্তূপ করে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। পাইপ লাইনগুলো জোর করে কারও কারও বাড়ির ওপর দিয়েও নেওয়া হচ্ছে।  

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অনেকে বলেন, রাস্তা (বাঁধ) কেটে বালুর পাইপ স্থাপন করছেন প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা। এতে করে এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বৃষ্টি হলে কাদা-পানিতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন গ্রামবাসী। আবার কারও কারও ঘরের মধ্য দিয়ে জোর করে বালুর পাইপ নেওয়া হলেও ভয়ে তারা কিছু বলতে পারছেন না।   

সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. হোসেন আলী অভিযোগ করে বলেন, বালু ব্যবসায়ীরা ব্যক্তিস্বার্থের জন্য রাণীগ্রাম ও কোবদাসপাড়ায় চলাচলের রাস্তার ওপর ড্রেজারের বিশাল সাইজের পাইপ স্থাপন করেছেন। এতে শহর রক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। এছাড়া এলাকাবাসীর চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে, শঙ্কা রয়েছে জলাবদ্ধতারও।  

তিনি বলেন, শহর রক্ষা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে পানি ঢুকে শহরবাসী ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়বেন। পাইপ স্থাপন না করার জন্য গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।  


সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শহর রক্ষা বাঁধের ওপর দিয়েই বালুর পাইপ নেওয়া হচ্ছে। পাইপগুলো অপসারণ করার জন্য বালু ব্যবসায়ীদের সাবধান করে দিয়েছি। দ্রুত পাইপ অপসারণ না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে দরখাস্ত এসেছে কি না খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২৩
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।