ঝালকাঠি: ছত্রকান্দা ব্রিজের ওপর থেকে বাসে উঠছিলেন পারভীন আক্তার (৫৩)। বাসটি ৫০ গজ সামনে এগোতেই পুকুরে পড়ে যায়।
সদর উপজেলার ভাটারাকান্দা এলাকায় জামাই সজীবের বাড়িতে শুক্রবার সকালে বেড়াতে গিয়েছিলেন। শনিবার সকালে মেয়ে-জামাইয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বের হন নিজ বাসায় ফেরার উদ্দেশে। পথে ঘটে দুর্ঘটনা।
জানা যায়, শনিবার (২২ জলাই) সকালে ভান্ডারিয়া থেকে বাশার স্মৃতি পরিবহন নামে যাত্রীবাহী একটি বাস ঝালকাঠির দিকে যাচ্ছিল। পথে যাত্রী সংগ্রহের জন চালক অনেকটা পথ খুব ধীরে গাড়ি চালান। এ কারণে নির্ধারিত সময়ের বেশিরভাগ শেষ হয়ে যায়। পরে সেই সময় পূরণে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালক। পথে ছত্রকান্দা নামক স্থানে পৌঁছালে গতি না কমিয়েই একটি অটোরিকশাকে সাইড দিতে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি উল্টে পুকুরে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় বাসের ১৭ জন যাত্রী। এদের মধ্যে পারভীন আক্তার একজন।
শনিবার মরদেহ শনাক্ত করতে গিয়ে ১৬টির পরিচয় পাওয়া গেলেও অজ্ঞাতপরিচয় ছিলেন একজন নারী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মরদেহ শনাক্ত করেন তার জামাই সজীব।
নিহত পারভীন আক্তার বরিশাল সদরের বাসিন্দা। মুকেল বয়াতি ও লালজা খাতুনের বড় মেয়ে তিনি। রোববার দুপুরে বরিশালের নিজ বাড়িতে নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২৩
আরএ