ঢাকা, রবিবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ঢামেকের সরকারি পার্কিংয়ে অ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘটের প্রস্তুতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৩
ঢামেকের সরকারি পার্কিংয়ে অ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘটের প্রস্তুতি

ঢাকা: ৬ দফা দাবিতে ধর্মঘটের আল্টিমেটাম দিয়েছে অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি। সোমবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করবে।

এ লক্ষ্যে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের সরকারি পার্কিংয়ে চলছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সদের ধর্মঘটের প্রস্তুতি।

বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগের পাশে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের সরকারি জায়গায় গিয়ে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সে ধর্মঘটের ব্যানার সাঁটা হচ্ছে। এর আগে বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফাসহ অন্যান্য নেতারা পার্কিংয়ে অবস্থানরত অ্যাম্বুলেন্স মালিক ও চালকদের সঙ্গে কথা বলেন। ধর্মঘটের ব্যাপারে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। এর পরপরই মূলত ধর্মঘটের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির দাবিগুলো হলো—সেবাখাতে বিআরটিএ’র অ্যাম্বুলেন্স থেকে প্রাইভেট কারের মতো আয়কর (এটিআই) নেওয়া বন্ধ; অনতিবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন; অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত টোল ফ্রি নীতি বাস্তবায়ন; দেশের প্রতিটি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের পার্কিং সুবিধা নিশ্চিতকরণ; অ্যাম্বুলেন্সে রোগী থাকলে পাম্পে তেল-গ্যাস নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং সড়কে হয়রানি মুক্ত ও নির্বিঘ্নে পথ চলার নিশ্চয়তা প্রদান।

ধর্মঘটে যোগ দেবেন অ্যাম্বুলেন্স মালিক বাবুল দেওয়ান। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা রোগীদের ব্যবহার করে ধর্মঘটে যেতে চাই না। ২০১৭ সাল থেকে আমরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া মানার জন্য সাধারণভাবে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু আমাদের দিকে কেউ ফিরেও তাকায়নি। আমাদের যে কয়টি দাবি আছে সবগুলি যৌক্তিক দাবি। আমরা হাসপাতাল থেকে রোগী নিয়ে বাংলাদেশের শেষ সীমানায় যাব। যেকোনো পেট্রোল পাম্পে প্রবেশ করলে বিকাল থেকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বন্ধ থাকে। তখন আমরা গ্যাস-তেল নেব কোথা থেকে।

যখন গ্যাস নেওয়ার সময়-আমরা ঢাকার বাইরে থাকলে পেট্রোল পাম্পে থাকে প্রচণ্ড ভিড়। আমাদের রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সে তারা কখনও আগে গ্যাস দেয় না। সেখানকার লাইনম্যানকে টাকা দিলে পরে গ্যাস নিতে লাইন পাওয়া যায়। এখনো সময় আছে। কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি-দাওয়া মেনে নিলে আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেব। আজকে যদি রাত ১২টার পরে ধর্মঘট চলার সময় আমার মা অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন আমিও তো ধর্মঘট মানব না। আমার মাকে নিয়ে ঠিকই আমি অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাব। তেমনি আমি অন্য রোগীদেরও হাসপাতালে নিতে চাই। তাই কর্তৃপক্ষকে আমাদের দাবিগুলো মেনে নিতে অনুরোধ করবো।

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, সারা দেশে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘটে যাচ্ছে এটা জানতে পেরেছি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির কথা হচ্ছে। আশা করি ধর্মঘট যেন প্রত্যাহার হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের হাসপাতালে পার্কিংয়ে যেসব বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স আছে তাদের মালিক ও চালকদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, মুমূর্ষ রোগীর ব্যাপারে তারা যেন ধর্মঘটের সময় ছাড় দিয়ে চলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৩
এজেডএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।