ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২০ লাখ টাকা ‘ঘুষ’ দিয়েও কাজ না পাওয়ার অভিযোগ ঠিকাদারের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৩
২০ লাখ টাকা ‘ঘুষ’ দিয়েও কাজ না পাওয়ার অভিযোগ ঠিকাদারের

বরগুনা: বরগুনা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রাইসুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূতভাবে কাজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে বরগুনার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এনএইচ এমটি এফই’র (জেভি) পক্ষে মো. বশির আহম্মেদ এ অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেন তিনি।  

বশির আহম্মেদ অভিযোগ করেন, উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ নামে বরগুনা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ বছরের ২৫ মে ১১ কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার ৩২৫ টাকার এ দরপত্র খোলা হলে মেসার্স এনএইচ এমটি এফই (জেভি) ১১ কেটি ৭৪ লাখ ৯৪ হাজার ৬২১ টাকার দরপত্র জমা দেয়।

তবে এ দরপত্রে ১০ কোটি ২৬ লাখ সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল মেসার্স নাহর অ্যান্ড পলি। তা সত্ত্বেও নির্বাহী প্রকৌশলী রাইসুল ইসলাম আমাকে কাজ দেওয়ার কথা বলে লোভ দেখিয়ে পূবালী ব্যাংক বরগুনা শাখা ৩০০৭১ হিসাব নম্বরে ২০ লাখ টাকা ঘুষ নেন। কিন্তু পরে তিনি আমাকে কাজ না দিয়ে ৬০ লক্ষাধিক টাকা ঘুষ নিয়ে মেসার্স কামাল এন্টারপ্রাইজকে ওই কাজ দেন। কারণ নির্বাহী প্রকৌশলী রাইসুল ইসলাম ও কামাল এন্টার প্রাইজ তারা ব্যবসায়িক অশিংদার।

তিনি আরও বলেন, এভাবে বিধিবহির্ভূতভাবে এবং সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দেওয়ার কারণে সরকার প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাই বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত এবং আমার কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত চাই।

অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বরগুনা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রাইসুল ইসলাম বলেন, কারো কোনো অভিযোগ থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করতে পারেন। কিন্তু এ নিয়ে আমাকে হুমকি বা হয়রানি করায় আমিও ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ বিষয় নিয়ে শিগগিরই বিস্তারিত জানানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৩
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।