ঢাকা: রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী রাজনসহ সরাসরি জড়িত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সোমবার (৩১ জুলাই) রাতে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০ এর একটি দল।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তাররা সবাই কেরানীগঞ্জের চিহ্নিত মাদক কারবারি। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে থানায় মামলা রয়েছে। সাইফুলকে হত্যার পর আসামিরা আত্মগোপনে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকায় রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
এবিষয়ে বাহিনীটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বাংলানিউজকে বলেন, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এই হত্যাকাণ্ডে কার কী ভূমিকা ছিল তা জানা যাবে।
নিহতের বড় বোন লাকি আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের সাতপাখি রোডে সাইফুলের একটি বোরকার দোকান রয়েছে। এলাকার মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতেন তিনি। এ কারণে তিনি এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের টার্গেটে পরিণত হন। গভীর রাতে তার ভাইকে বাসা থেকে ঢেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
তিনি বলেন, রোববার রাতে সাইফুল দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরেন। এরপর এলাকার কয়েকজন মাদক কারবারি কথা বলার জন্য তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে সন্ত্রাসীরা বাসার দরজায় লাথি মেরে চিৎকার করে বলে, সাইফুলের লাশ সাতপাখি সড়কে পরে আছে নিয়ে আয়।
খবর পেয়ে আমরা বাসা থেকে দৌড়ে যাই। সেখানে রাস্তায় রক্ত পরে থাকতে দেখি। আশপাশের মানুষ জানায় সাইফুলকে মিটফোর্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি আমার ভাই মারা গেছেন।
লাকি আক্তার আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা সাইফুলের মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে। ওর দুই চোখ তুলে ফেলেছে। ওরা আমার ভাইকে অনেক কষ্ট দিয়ে মেরেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
কেরানীগঞ্জের স্থানীয়রা জানায় রাজন এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি। রাজনের সঙ্গে জানে আলম, কালা সুমন, সুমনসহ আরও কয়েকজন এলাকায় মাদকের কারবার করে। এছাড়াও তারা বিভিন্ন অপরাধ কর্মের সঙ্গেও ওরা জড়িত।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২৩
এসজেএ/এমএইচএস