দিনাজপুর: জেলার ঘোড়াঘাটে ফারহানা আক্তার চুমকি (৩৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, রশি ও নিহতের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (০৩ আগস্ট) বিকেলে দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ।
এরআগে, গত ২৮ জুলাই সকালে ঘোড়াঘাট উপজেলার মোজাম্মেল হকের আম বাগান থেকে চুমকির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। চুমকি জয়পুরহাট সদর উপজেলার মধ্যদড়িপাড়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের মেয়ে।
গ্রেফতাররা হলেন জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ৮ নম্বর আওলাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক (৫০), তার সহযোগী একই উপজেলার বয়রা-ছাতিনালী গ্রামের মৃত মালেক মণ্ডলের ছেলে এমদাদুল হক (৪৮), মাইক্রোবাসের চালক দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার মরিচা গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে এমদাদুল হক (৪৫)।
পুলিশ সুপার জানান, জয়পুরহাট পাঁচবিবি উপজেলার বর্গাহাটি এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন ফারহানা আক্তার চুমকি ও তার স্বামী এজাজুল হক সনি। এজাজুল হক মুদি দোকানি ছিলেন এবং দেরিতে বাসায় ফিরতেন। এই সুবাদে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২০ সালে চুমকিকে গোপনে বিয়ে করেন আব্দুর রাজ্জাক। এতে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হন তিনি। এর পর থেকে চুমকিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি জানান, গত ২৭ জুলাই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বিয়ের করার কথা বলে চুমকিকে ডেকে পাঠান আব্দুর রাজ্জাক। পাঁচবিবি থেকে মাইক্রোবাসে করে চুমকিকে ঘোড়াঘাটে নিয়ে আসার পথে ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে ওই গাড়ীতে উঠেন চেয়ারম্যান ও তার সহযোগী। ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজার এলাকায় পৌঁছালে গাড়ির মধ্যেই গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে চুমকিকে হত্যা করেন আসামিরা। পরে তাকে খারাপ মেয়ে বলে আখ্যায়িত করতে মোজাম্মেল হকের আম বাগানে মরদেহ ফেলে যান আসামিরা। ২৮ জুলাই চুমকির মরদেহ উদ্ধার হলে তার বাবা মোখলেছুর রহমান একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ সময় দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মাসুম ও ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২৩
এসআইএ