কক্সবাজার: টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া, কক্সবাজার সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ৬০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে এসব এলাকার দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
মাতামুহুরী নদী ও বাকখালী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মাতামুহুরি নদীতে ঢলের পানির সঙ্গে আসা লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে নদীর লক্ষারচর পয়েন্টে এক যুবক ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছে।
গত পাঁচ দিন ধরে কক্সবাজারে টানা ভারী বর্ষণ হচ্ছে। একই সঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি লোকালয়ে নেমে আসছে। রোববার (৬ আগস্ট) রাত থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি বেড়েছে।
পাহাড়ি ঢলের পানি চকরিয়া উপজেলার কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বরইতলী, চিরিঙ্গা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, ফাঁসিয়াখালী চকরিয়া পৌরসভার বিএমচর পেকুয়া সদর ইউনিয়ন রামু উপজেলার গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, কাউয়ারখোপ, রাজারকুল ইউনিয়নে বেশির ভাগ গ্রামে ঢুকেছে। এসব গ্রামের সড়কগুলোও পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
চকরিয়ার মানিকপুর- সুরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিমুল হক জানান, এ ইউনিয়নের ৮০ ভাগ বাড়িঘর বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। শুধুমাত্র যারা পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করেন তারা বন্যা কবলিত হয়নি। চুলার আগুন জ্বালাতে পারছে না লোকজন। যে কারণে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। তবে এরই মধ্যে দুর্গত লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের চকরিয়া উপজেলা কর্মকর্তা জামাল মোর্শেদ জানান, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মাতামুহুরি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি জানান, মাতামুহুরি নদীর ঢলের পানির স্রোতে পেকুয়া উপজেলার মেহেরনামা বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এ ছাড়া আরও একাধিক এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান জানান, পাহাড়ি ঢলের পানি হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় এ বন্যা দেখা দেয়। পাহাড়ি ঢলে নদী ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করা লোকজনকে সমতলের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা জানান, পাহাড়ি ঢলে এ উপজেলার রাজাখালী, উজানটিয়া মগনামা, টৈটং, বারবাকিয়া, শিলখালীর নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২৩
এসবি/জেএইচ