ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদাবাজির মামলা করায় মেম্বারকে কোপালেন চেয়ারম্যান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৩
চাঁদাবাজির মামলা করায় মেম্বারকে কোপালেন চেয়ারম্যান মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করায় আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ইউপি সদস্যকে (মেম্বার) কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।  

শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেলে তামাই বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মণ্ডল সমর্থিত ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।  

আহত আব্দুর রাজ্জাক সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে হাসপাতাল থেকে আহত আব্দুর রাজ্জাক জানান, শুক্রবার বিকেলে তামাই গ্রামে মফেল সরকার নামে এক আত্মীয়ের কুলখানি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে যান তিনি। ফেরার পথে জহুরুল চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তার ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় থানায় গেলে পুলিশ তাকে হাসপাতালে পাঠায়।  

আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ করেন, ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর বানিয়াগাঁতী প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে আমাকে সভাপতি মনোনীত করা হয়। চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভুঁইয়া সভাপতি হতে না পারায় প্রকল্পের কাজ বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেন। তিনি বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করেন। বাধ্য হয়ে গত ৩ আগস্ট সিরাজগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতে চেয়ারম্যানকে আসামি করে মামলা দায়ের করি। মামলার পর থেকে চেয়ারম্যান আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এরই জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে বিষয়টা জানতাম না। আর মেম্বার রাজ্জাকের ওপর হামলার ব্যাপারেও আমি কিছু জানি না। মূলত আমি এমপি সাহেবের রাজনীতি করি মেম্বার রাজ্জাক অন্য গ্রুপের রাজনীতি করেন। এ কারণে আমার বিরুদ্ধে তিনি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।  

বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার জানান, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রক্তাক্ত অবস্থায় থানায় এসে বলেন, চেয়ারম্যান তাকে কুপিয়ে আহত করেছেন। আমরা তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। পরে জানতে পারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বালু দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে, মামলা মোকদ্দমাও আছে। এসব নিয়েই এ হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে এখনো থানায় অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।