বরিশাল: ‘একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক-পলিথিন বর্জন এবং বিকল্প ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ’ শীর্ষক সচেতনতামূলক স্কুল ক্যাম্পেইন প্রোগ্রাম বরিশালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) বরিশাল শাখার আয়োজনে নগরের বগুরা রোডস্থ অক্সফোর্ড মিশন হাইস্কুলে এ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল অক্সফোর্ড মিশন হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাইট রেভা. পল এস সরকার, সহকারী প্রধান শিক্ষক ফাদার জন এসপিবি, পরিবেশবিদ মো. রফিকুল আলম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেলা’র বরিশাল বিভাগের সমন্বয়ক লিঙ্কন বায়েন।
এরপর প্লাস্টিক-পলির্থিনের দূষণ ও বিকল্প ব্যবহার সম্পর্কিত ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। প্রদর্শনী শেষে বেলা’র সমন্বয়ক পুরো প্রতিপাদ্য বিষয়টি অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ব্যবহারের পর আমরা যে প্লাস্টিক-পলিথিন ফেলে দেই, তা মাটি ও পানিতে মিশে থাকে। দীর্ঘ সময় পরিবেশে অবস্থানের ফলে প্লাস্টিক দ্রব্যাদি মাইক্রোপ্লাস্টিকে পরিণত হয় এবং সরাসরি প্রাণির খাদ্যচক্রে প্রবেশ করে। ফলে মানবজাতি ও প্রাণিকূল নানা ধরনের প্রাণঘাতি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী এর উৎপাদন ও ব্যবহারসহ বাংলাদেশে এর চাহিদা ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ফলে জনজীবন এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশের সকল ক্ষেত্রে এর ক্ষতিকর দীর্ঘ বছর বিরাজমান থাকে।
আলোচকরা বলেন, গ্রিন পিসের তথ্যমতে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের বোতল পুরোপুরি ধ্বংস হতে সময় লাগে ১০০০ বছর, যেখানে প্লাস্টিক ব্যাগ ধ্বংস হতে সময় লাগে ৪৫০ বছর। অন্যদিকে সামান্য প্লাস্টিকের স্ট্র পৃথিবীতে ৭০০ বছর বিদ্যমান থাকে। সম্প্রতি গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে যে, ইতালির বিজ্ঞানিরা মায়ের বুকের দুধে মাইক্রো প্লাস্টিকের উপস্থিতি পেয়েছেন। তাই প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারে আমাদের উদ্যোগী হতে হবে। প্লাস্টিকের মাইক্রোকনা নিউরনের সাথে মিশে নিউরন তথা ব্রেনকে অকার্যকর করে তোলে। স্বাভাবিক চিন্তাশক্তিকে দুর্বল করে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, আগষ্ট ১৯, ২০২৩
এমএস/এমজেএফ