ঢাকা, বুধবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গমাতার নামে পাঠাগার স্থাপন অনেক আত্মতৃপ্তির: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০১ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৩
বঙ্গমাতার নামে পাঠাগার স্থাপন অনেক আত্মতৃপ্তির: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের খুব বেশি পুথিগত বিদ্যা ছিল না, কিন্তু তিনি ছিলেন অসীম জ্ঞানের অধিকারী। তাঁর নামে পাঠাগার স্থাপন আমাদের জন্য অনেক আত্মতৃপ্তির ব্যাপার।

শনিবার (১৯ আগস্ট) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাঁর নির্বাচনি এলাকা রাজশাহীর আড়ানি পৌরসভায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পাঠাগারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনের প্রায় ১৩ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি যখন কারাগারে বন্দি থাকতেন, তখন বঙ্গমাতা তাঁর অনুভূতিগুলো লিখে রাখার জন্য তাঁকে কাগজ-কলম দিয়ে আসতেন। বঙ্গবন্ধুর লেখা সেই অনুভূতিগুলো তিনটি বই আকারে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। এই মহিয়সী নারীর বুদ্ধিমত্তার কারণেই এসব বই পড়ে বতর্মান প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর চিন্তাচেতনা এবং জাতির সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বঙ্গমাতা পাঠাগার শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য নয় মন্তব্য করে শাহরিয়ার আলম বলেন, সব বয়সী মানুষের জন্য এই পাঠাগারটি উন্মুক্ত। সবাই এখানে এসে বই পড়তে পারবে। এই পাঠাগার বুদ্ধিবৃত্তিক আড্ডার স্থল হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।  

এলাকার মানুষকে পাঠাগারে আসার জন্য আকৃষ্ট করতে শিক্ষকদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ১০ জন মানুষকেও যদি আকৃষ্ট করতে পারেন তাহলে এই পাঠাগার স্থাপন সার্থক হবে যদিও স্বপ্ন আরও অনেক বেশি। নিরক্ষরদের অক্ষর জ্ঞান দেওয়া ছাড়াও এই পাঠাগার নিয়ে অনেক পরিকল্পনা রয়েছে বলে এ সময় তিনি জানান।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ছোটবেলার বই পড়ার অভ্যাস বড় হলে সফলতার অন্যতম উপাদান হিসেবে কাজ করে। শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য পাঠাগারে কবিতা পাঠ ও গল্প পাঠের আসর আয়োজনেরও পরামর্শ দেন তিনি। ১৩৫টি বই নিয়ে যাত্রা শরু করা পাঠাগারটিতে পর্যায়ক্রমে আরও বই দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি পাঠাগারটিকে বই দিয়ে আরও সমৃদ্ধ করতে এলাকার মানুষকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম মুকুট, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ এফ এম হাসান।  

অন্যান্যের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা ১০ জন কৃতি শিক্ষার্থীর হাতে বঙ্গবন্ধুর লেখা কারাগারের রোজনামচা ও অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই দুটি উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, বাঘা উপজেলায় মোট ৯টি পাঠাগার স্থাপন করার কথা রয়েছে। এ নিয়ে ৬টি পাঠাগারের উদ্বোধন করা হলো। বাকি তিনটির কাজ চলমান রয়েছে, খুব শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে অনুষ্ঠানে জানা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২০,  ২০২৩
টিআর/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।