নীলফামারী: অঞ্জলী রাণী। বাবা-মায়ের অতি আদরের মেয়ে।
জেলার সৈয়দপুর শহরের কুন্দল কলেজপাড়া (মুচিপাড়া) এলাকার রাজু দাস ও ববি দাসের মেয়ে অঞ্জলী রাণী। এই দম্পতির তিন মেয়ে। এর মধ্যে মেজ মেয়ে অঞ্জলী। ওই এলাকায় তাদের ভাড়া বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অঞ্জলী।
বাবা রাজু দাস পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। তিনি শহরের এলাকায় বাড়ি ভাড়ায় থেকে অন্যের ফার্নিচারের দোকানে দিন হাজিরায় কাজ করেন। তার প্রতিদিন কাজ করে যে যৎসামান্য আয় হয়, তা দিয়ে বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে চার সদস্যের পরিবারের তিন বেলা খাবার জোটে না। তবুও দুই মেয়েকে লেখাপড়া করাচ্ছেন তিনি। এর মধ্যে মেজ মেয়ে অঞ্জলীর অসুস্থতা দেখা দেয়। অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাহিদ বসুনিয়ার শরণাপন্ন হন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় হৃদপিণ্ডে ছিদ্র ধরা পড়ে অঞ্জলীর। জরুরি ভিত্তিতে হৃদপিণ্ডে অপারেশনের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। এতে প্রায় ৭-৮ লাখ টাকা প্রয়োজন।
এত টাকা রাজু দাসের পক্ষে জোগার করার কোনোভাবেই সম্ভব না।
এদিকে, চিকিৎসার অভাবে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ছে অঞ্জলী। খাবার খাওয়ার পরপরই বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হচ্ছে। এ অবস্থায় হতদরিদ্র বাবা রাজু কী করবেন, কোথায় যাবেন? -এসব চিন্তায় কূল-কিনারা পাচ্ছেন না।
অভাবের সংসারে তেমন কোনো সহায়-সম্পদও নেই; যা বিক্রি করে মেয়ের অপারেশন করাবেন রাজু। চোখের সামনে অতি আদরের মেয়ে শারীরিকভাবে দিন দিন আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে মেয়ে অঞ্জলী চিকিৎসার খরচ জোগাতে সমাজের সহৃদয়বান, বিত্তশালী ও দানশীল মানুষের কাছে সহায়তা চেয়েছেন বাবা রাজু দাস ও মা ববি দাস।
বাংলাদেশ সময়: ০২১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৩
এসআরএস