ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

পরকীয়া: পল্লি চিকিৎসককে জুতার মালা পরালেন গ্রাম্য মাতব্বররা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৩
পরকীয়া: পল্লি চিকিৎসককে জুতার মালা পরালেন গ্রাম্য মাতব্বররা

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পরকীয়া প্রেমিকার ঘরে হাতেনাতে ধরা পড়েন বেল্লাল হোসেন (৫৫) নামে এক গ্রাম্য চিকিৎসক। পরে তাকে মারধর করে জুতার মালা পরিয়েছেন স্থানীয় মাতব্বররা।

এখানেই শেষ নয় জুতার মালা পরানো অবস্থায় তার ছবি তুলে ফেসবুকে প্রচারের নির্দেশও দেন তারা।  

শনিবার (২৬ আগস্ট) গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সলঙ্গা থানাধীন হাটিকুমরুল ইউনিয়নের তারটিয়া গ্রামে। ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে পরকীয়া প্রেমিক যুগলকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানায়, উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের কসিমুদ্দিন আকন্দের ছেলে পল্লি চিকিৎসক বেল্লাল হোসেনের সঙ্গে তারুটিয়া গ্রামের তাহাজ আলীর স্ত্রীর পরকীয়া ছিল। শনিবার রাতে বেল্লাল হোসেন প্রেমিকার ঘরে যান। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা উভয়কে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে গণপিটুনি দেন। খবর পেয়ে গ্রামের মাতব্বর আহসান হাবিবের নেতৃত্বে নুরুল হালিম, সাঈদ, সুবল, সেলিম, আলম, সোলাইমান, এরশাদ আলী, সুজন খাইরুল, রবিউলসহ অনেকেই উপস্থিত হন। তারা গ্রাম্য সালিশ বসিয়ে সামাজিক বিচারে বেল্লাল হোসেনকে জুতোর মালা পরিয়ে দেন। জুতোর মালা পরানোর পর উপস্থিত যুবকদের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচারের নির্দেশ দেন মাতব্বর আহসান হাবীব। পরে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে সলঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রেমিক যুগলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।  

এ বিষয়ে জানতে গ্রাম্য মাতব্বর আহসান হাবীবকে বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল আলম রেজার নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।  

সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, খবর পেয়ে রাতেই তাদের উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। সকালে গৃহবধূকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে বেল্লাল হোসেন এখনও থানা হেফাজতে রয়েছেন। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ না করায় আদালতে পাঠানো হয়নি। তবে  যারা বেল্লাল হোসেনকে জুতোর মালা পরিয়েছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ছেড়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. খাদিজা সুলতানা বলেন, কোনো অপরাধীর গলায় জুতোর মালা পরিয়ে শাস্তি দেওয়ার বিধান নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।