নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে ফিল্মি স্টাইলে মেধাবী স্কুলছাত্রীকে (১৭) অপহরণ করেছে এক বখাটে। ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
সেইসঙ্গে অপহরণকারী যুবকের পরিবার থেকে নানাভাবে হুমকি দেওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অপহৃত শিক্ষার্থীর পরিবারের লোকজন।
গত শনিবার (২৬ আগস্ট) সকালে উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের করোনার মোড় এলাকায় মোজাফরের স'মিলের সামনে থেকে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়। সে বোতলাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী।
এলাকাবাসী জানায়, মেয়েটি অত্যন্ত মেধাবী। তার রোল নম্বর ১। সে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আগামী ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার অংশগ্রহণ করবে। দেখতেও অনেক সুন্দর। দীর্ঘদিন থেকে স্কুল ও কোচিং এ যাতায়াতের পথে সাগর (২২) নামে এক যুবক তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সাগর পার্শ্ববর্তী বোতলাগাড়ী হাজিপাড়ার মো. হামিদুল ইসলামের বড় ছেলে ও সৈয়দপুর সরকারি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
ওই শিক্ষার্থীর ভাই আবু সাঈদ (১৫) বলেন, প্রতিদিনের মত ওইদিন সকালে আপুকে বাইসাইকেলে নিয়ে কোচিং এ নিয়ে যাওয়ার সময় মোজাফরের স'মিলের সামনে পৌঁছতেই একটা মাইক্রোবাস ওভারটেক করে সামনে এসে আমাদের পথরোধ করে। সাগরসহ অচেনা আরও দুইজন যুবক নেমে আপুকে টেনে সাইকেল থেকে নামিয়ে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আমি মাটিতে পড়ে গেলে তারা টেনে হিঁচড়ে আপুকে মাইক্রোতে তুলে দ্রুত চলে যায়। এসময় হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল। রাস্তায় বা আশপাশে লোকজন না থাকায় আপু ও আমি চিৎকার করলেও কেউ আসেনি। পরে আমি বাড়িতে এসে সব বলি।
খোঁজ নিলে সাগরের বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে সাগরের ছোট ভাই বোতলাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র সোহাগ বলে, ভাই মেয়েটাকে ভালোবাসে। মেয়েটাও ভাইকে পছন্দ করে। কিন্তু মেয়ের বাবা তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তাই ভাই বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে মেয়েকে ডেকে এনে মাইক্রো করে ঢাকায় চলে গেছে এবং বিয়ে করেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জুন সরকার বলেন, বিষয়টা পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সৈয়দপুর থানার অভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
আরএ