ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রামুর পূর্ব রাজারকুলে আলো ছড়াচ্ছে জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার

সুনীল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
রামুর পূর্ব রাজারকুলে আলো ছড়াচ্ছে জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার

কক্মবাজার: কক্সবাজারের রামু উপজেলার পূর্ব সীমান্তে বাঁকখালী নদীর পাড় ঘেঁষে পূর্ব রাজারকুল গ্রামের অবস্থান। গ্রামটিতে যেতে একটি সেতু থাকলেও, বর্ষায় এখনো নৌকায় ও শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়েও পারাপার হন গ্রামের ১০ হাজারের বেশি মানুষ।

গ্রামটিতে ২০১৭ সালে গড়ে তোলা হয়, জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার। এলাকার শিক্ষা সংস্কৃতির বিকাশে এখন আলো ছড়াচ্ছে জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার।

সম্প্রতি পাঠাগারে গিয়ে দেখা যায়, শুধু বই পড়া কার্যক্রম নয়, মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে খেলাধুলাসহ, গ্রামের সহজ সরল মানুষের নানা বিনোদনের মাধ্যমও এ পাঠাগার।  

উদ্যোক্তারা জানালেন, লাইব্রেরির চয়টি বুক শেলফে আট হাজারের বেশি দেশি-বিদেশি বই সংরক্ষিত আছে পাঠাগারে।

পাঠাগারের সভাপতি শিপ্ত বড়ুয়া জানান, বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক পাঠকের চেয়ে বই পড়তে বেশি আসে শিশু-কিশোর।  প্রতিদিন অন্তত ৩০ জন শিশু-কিশোর বই পড়তে আসে পাঠাগারে। কেউ বই পড়ে, কেউ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। আবার শিশুদের বেশির ভাগ সময় কাটে ব্লক দিয়ে খেলায়।

এখানকার নিয়মিত শিশুপাঠক পায়েল বড়ুয়া। পায়েল জানায়, সে ব্লক দিয়ে পদ্মা সেতুর কাঠামো বানিয়েছে। প্রতিদিনই পাঠাগারে খেলতে আসে সে। ঘরে ফেরার সময় নিয়ে যায় বই। সময় মতো আবার ফেরত দেয়।  

পাঠাগারকে আরও সমৃদ্ধ করার নানা পরিকল্পনার কথা জানিয়ে শিপ্ত বলেন, আমরা পাঠাগারের পর এবার একটা ধ্যানাগার প্রতিষ্ঠার কথাও ভাবছি। বই পড়ার পাশাপাশি মনের চর্চাও জরুরি।

পাঠাগারটির সাধারণ সম্পাদক অজয় বড়ুয়া জানান, ১০ শতাংশ জমির ওপর দোতলা ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে, কিন্তু অর্থাভাবে থেমে আছে কাজ। তারপরেও আমরা দমে যাইনি। কাঁঠ দিয়ে দোতলা ভবন বানিয়ে সাময়িকভাবে পাঠাগারের কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

দোতলা ভবনের কাজ শেষ হলে পাঠাগারের কাজ পুরোদমে শুরু হবে। আমাদের স্বপ্ন নিচতলায় পাঠকক্ষ এবং দোতলায় প্রায় ৫০টি কম্পিউটার নিয়ে হাইটেক পার্ক করার। এমন স্বপ্নের কথা জানান সংগঠক অজয় বড়ুয়া।

তিনি বলেন, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ বইমেলার আয়োজন করেন জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগারের স্বেচ্ছাসেবকেরা।

২০১৮ সালে সরকারি নিবন্ধন পায় পাঠাগারটি। এরপর থেকে প্রতিবছর সরকারি প্রণোদনার বই এবং সামান্য অর্থ বরাদ্দ পায়।

 উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা মুস্তফা বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলায় একমাত্র সচল পাঠাগার এটি। এলাকার শিক্ষা সংস্কৃতির বিকাশে এ ধরনের পাঠাগারের বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
এসবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।