নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আগের চেয়ে পরিধি বেড়েছে। বেড়েছে চিকিৎসাসেবার মানও।
হাসপাতালে রোগী দেখতে আসা রোগীর স্বজন আবু কালাম (৪৫) জানান, শুনেছি হাসপাতালের বাইরে রাখলে মোটরসাইকেল চুরি হয়। এর আগে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল চুরি হয়েছে। তাই সতর্কতার জন্য চারতলা পর্যন্ত সিঁড়ি (স্লিপিং বা ঢাল সিঁড়ি) দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে এসেছি। রোগীর খোঁজখবর নিয়ে আবার চলে যাব।
জানা গেছে, এই মোটরসাইকেল নিয়ে ওপরে যেতে হলে বহির্বিভাগ পার হয়ে যেতে হয়। হাসপাতালের আউটডোরে পা ফেলানোর জায়গা থাকে না। আর সেখানকার মানুষ সরিয়ে মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল নিয়ে যাওয়া অনেকের কাছেই বিরক্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। সেখানে অনেকে প্রশ্নও করেন, এখানে কী কোনো কর্তৃপক্ষ নেই!
এছাড়া হাসপাতালের বেডের আশেপাশে সবসময় থাকে বিড়ালের আনাগোনা। হাসপাতাল চত্বর ও পেছনে ময়লা-আবর্জনা রাখা হয় অনেকটা খোলাই। অনির্বাচিত সাইকেল গ্যারেজ বানানোর কারণে রোগী পরিবহনে স্ট্রেচার নিতেও বেশ সমস্যায় পড়তে হয়।
হাসপাতালের প্রতিটি তলায় হাসপাতালে চাকরি করতে আসা লোকজন ও রোগীর স্বজনরা মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল রাখছেন। ফলে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এতে করে রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। তবে কখনও কোনো কর্মকর্তা হাসপাতাল পরিদর্শনে যাওয়ার কথা থাকলে সেদিন একদম ঝকঝকে থাকে হাসপাতাল চত্বর। আর অন্য সময় রোগী ও ওষুধ কম্পানির প্রতিনিধিদের জটলা চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে।
হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ করার শর্তে বলেন, আমরা চিকিৎসক, নার্স অন্যান্যরা চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকি। তাই কে মোটরসাইকেল চারতলায় উঠালো বা নিয়ে গেলো সেটি দেখার সুযোগ থাকে না। হাসপাতাল যেহেতু সবার জন্য, সে জন্য সবার নজর দেওয়াটা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
এফআর