ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও সত্তায় ছিল বাঙালি ও বাংলাদেশ। তিনি পাকিস্তানিদের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন, অনশন করেছেন এবং কারাবরণও করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন।
সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মেজর জেনারেল (অব.) কাজী ফকরুদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য রাখেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ এন এম মেশকাত উদ্দীন এবং স্কুল অফ সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ব্যক্তিগত অভিলাষ বা ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা বঙ্গবন্ধুর ছিল না। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য, তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য বঙ্গবন্ধু আজীবন কাজ করেছেন বলেই তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ভিত রচনার পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ লাভে সচেষ্ট ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে ইন্টারপার্লামেন্টারি ইউনিয়ন এবং কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যপদ এনে দিয়েছিলেন। তার এই সুদূরপ্রসারী উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ এই দুটো সংস্থারই সর্বোচ্চ পদে আসীন হতে পেরেছে, যা এক অনন্য দৃষ্টান্ত। পৃথিবীর ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট। শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত-সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সকলকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
এসকে/এমজেএফ