ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

জলবায়ু পরিবর্তন ঘিরে দেশে প্রথম ‘গ্রেট টকস’ আয়োজক ব্রিটিশ কাউন্সিল

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
জলবায়ু পরিবর্তন ঘিরে দেশে প্রথম ‘গ্রেট টকস’ আয়োজক ব্রিটিশ কাউন্সিল

ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে দেশে প্রথমবারের মতো গ্রেট টক সেশন আয়োজন করেছিল ব্রিটিশ কাউন্সিল। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আয়োজিত এ সেশন একটি সিরিজের অংশ, যা গত ২৪ আগস্ট ভারতে শুরু হয়ে ৩১ আগস্ট বাংলাদেশে শেষ হয়।

 

প্রযুক্তি, শিল্পকলা, চলচ্চিত্র, বিজ্ঞান, বিজ্ঞান যোগাযোগ কর্মকর্তা, পরিবেশ, ডিজাইন ও সৃজনশীল খাত, ক্রীড়া, মহাকাশ ও রাজনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যে কর্মরত পেশাদারদের নিয়ে আয়োজিত লেকচার সিরিজ হল গ্রেট টকস।

যুক্তরাজ্যকে ভ্রমণ, অধ্যয়ন এবং ব্যবসার জন্য একটি চমৎকার জায়গা হিসাবে আন্তর্জাতিকভাবে প্রচার করা ব্রিটিশ সরকারের উদ্যোগ গ্রেট ক্যাম্পেইনেরই অংশ এই গ্রেট টকস। গ্রেট টকসের সেশনগুলো ঢাকার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ও ব্রিটিশ কাউন্সিল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।  

অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে ছিলেন অ্যাঙলিয়া রাস্কিন ইউনিভার্সিটির এডুকেশন ফর সাসটেইনেবিলিটি’র পরিচালক অধ্যাপক অ্যালিসন গ্রেইগ। অ্যাঙলিয়া রাস্কিন ইউনিভার্সিটির (এআরইউ) গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি ইনস্টিটিউটে এডুকেশন ফর সাসটেইনেবিলিটি (ইএফএস) গবেষণার নেতৃত্ব দেন অ্যালিসন। শিক্ষার মাধ্যমে কীভাবে তরুণ প্রজন্মকে আরও টেকসই ভবিষ্যৎ বিকাশের জন্য প্রস্তুত করা যায় তা নিয়ে কাজ করে এই উদ্যোগ।

একইসঙ্গে তিনি ফেলো অব দ্য হায়ার এডুকেশন অ্যাকাডেমির (বর্তমানে অ্যাডভান্সএইচই নামে পরিচিত) প্রিন্সিপাল ফেলো, এবং শেখা ও শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে একজন অগ্রণী ব্যক্তিত্ব হিসেবে সর্বোচ্চ পিয়ার-রিভিউড ইন্ডিকেটরে ২০১৯ সালে ন্যাশনাল টিচিং ফেলোশিপ লাভ করেন। বিভিন্ন কর্মশালা, সম্মেলন ও সেশনে অ্যাকাডেমিক এবং পেশাদার ব্যক্তিত্বদের সামনে তিনি নিয়মিত তার কাজ উপস্থাপন করেন।  

ঢাকায় গ্রেট টকস চলাকালীন তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, কী করা যেতে পারে, কীভাবে করা যেতে পারে এবং তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে, যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের পরবর্তী সময়ে বিশ্বকে পরিচালনা করতে প্রস্তুত করার উপায়গুলোর ওপর জোর দেন। বর্তমানে যখন দক্ষিণ এশিয়ায় রেকর্ডভাঙা তাপমাত্রা দেখা যাচ্ছে এবং জলবায়ু সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশ এ অঞ্চলের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি। এ সময় জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেশন চলাকালীন জলবায়ু সঙ্কট সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি এই সঙ্কট সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সর্বোত্তম উপায়ে এগিয়ে যেতে সবাইকে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করেন অ্যালিসন।     

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক অ্যালিসন গ্রেইগ বলেন, বাংলাদেশে আমার যাদের সাথে দেখা হয়েছে, তারা সবাই জলবায়ু পরিবর্তনকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেন। আমার বক্তব্য দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল তরুণদের মনে এ নিয়ে আগ্রহের বীজবপন করা এবং শিক্ষা ও ক্যারিয়ারের মাধ্যমে একটি টেকসই বিশ্ব বিনির্মাণে তারা কীভাবে অবদান রাখতে পারে, এ বিষয়ে তাদের ভাবতে সহায়তা করা।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের কালচারাল এনগেজমেন্ট ডিরেক্টর বাংলাদেশ ডেভিড নক্স বলেন, গ্রেট টকসে অংশগ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশে এসেছেন অধ্যাপক অ্যালিসন গ্রেইগ। এখানে তাকে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। তিনি তার বক্তব্যে জলবায়ু সঙ্কট নিয়ে অংশগ্রহণকারীদের ভিন্নভাবে ভাবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। তিনি অবশ্যই আমাকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রশ্নগুলো ভেবে দেখতে উৎসাহিত করেছেন। আমি মনে করি, এ বিষয়টি আমাদের সবাইকে নতুনভাবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পেতে অনুপ্রাণিত করবে। ক্লাইমেট কানেকশনসে অবদান রাখার মাধ্যমে জলবায়ু নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রত্যাশী।   

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ ও গবেষক, উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও এবং বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।