ফরিদপুর: ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইন্টার্ন ডাক্তারদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- হাসপাতালের স্টাফ ও চট্টগ্রাম সদরের ভোলানাথের ছেলে অর্ণব (২৬), ইন্টার্ন ডাক্তার মাহমুদুল (২৬), ইন্টার্ন ডাক্তার শামিম (২৪), ইন্টার্ন ডাক্তার রোকন (২৪), ইন্টার্ন ডাক্তার শিহাব (২৪), ইন্টার্ন ডাক্তার এজাজ (২৬), ইন্টার্ন ডাক্তার মহিন (২৬), ইন্টার্ন ডাক্তার শাকিব (২৬), ইন্টার্ন ডাক্তার পাভেল (২৬), ইন্টার্ন ডাক্তার ইসতেফার (২৪), ইন্টার্ন ডাক্তার জাহিদ (২৬), ইন্টার্ন ডাক্তার সাব্বির (২৬) ও ইন্টার্ন ডাক্তার ফরহাদ (২৬)। তারা সবাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রাবাসে থাকেন।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে ফরিদপুর সদর উপজেলার কমলাপুরের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা নয়ন খান নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং এর কিছুক্ষণ পরে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ডাক্তার ও স্বজনদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। নিহত নয়ন খানের বাড়ি হাসপাতালের কাছে হওয়ায় তাদের স্বজনরা হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার ও স্টাফদের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। আহতরা আশঙ্কা মুক্ত। এছাড়া নিহত ওই ব্যক্তির স্বজনদের থানায় নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। বিষয়টি নিয়ে ডাক্তাররা সকালে মিটিংয়ে বসেছেন। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনামুল হক বলেন, প্রতিদিনই কমবেশি ঝামেলা হয়। আমি হাসপাতালে বাইরে ছুটিতে আছি। তবে মারামারির কথা জানতে পেরেছি। বিস্তারিত জেনে পরবর্তীতে জানানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৩
এফআর