ঢাকা: ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে পুলিশের অভিযানে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছিল। এ বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছিলেন মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খানসহ দুজন।
এদিন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য রয়েছে। মামলার অপর আসামি হলেন- এ এস এম নাসির উদ্দিন এলান। তিনি অধিকারের পরিচালক।
এক দশক আগে হওয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইনের এ মামলায় গত ২৪ আগস্ট রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ওই ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম ও আসামি পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ রুহুল আমিন ভুঁইয়া মামলার শুনানিতে অংশ নেন। ওইদিনই আদালত রায়ের জন্য ৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে হেফাজতের শাপলা চত্বরে সমাবেশে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার। এ ঘটনায় একই বছর ১০ আগস্ট গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম। ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আশরাফুল আলম আদিলুর ও নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
পরদিন ৫ ঢাকার সিএমএম বিকাশ কুমার সাহা মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে পাঠান। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। সেই মামলায় আদিলুরকে গ্রেপ্তার দেখানোর পাশাপাশি পলাতক আসামি নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
পরবর্তীতে অবশ্য আদিলুর রহমান খান ও নাসিরুদ্দিন এলান দুজনই জামিনে মুক্তি পান৷
২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সেই মামলায় দীর্ঘ আট বছর পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ওইদিন সাক্ষ্য দেন ডিবির তৎকালীন উপপরিদর্শক (বর্তমানে সিআইডির পরিদর্শক) আশরাফুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ৬১ জনের মৃত্যুর বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে আসামি আদিলুর ও এলানের প্রতিবেদন জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অপচেষ্টা। তাদের প্রতিবেদন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৩
কেআই/এমএম/এমজে