ঢাকা, সোমবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ জুন ২০২৪, ১৬ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

জাইকার ভলান্টিয়ার প্রোগ্রামের ৫০ বছরপূর্তি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩
জাইকার ভলান্টিয়ার প্রোগ্রামের ৫০ বছরপূর্তি

ঢাকা: বাংলাদেশে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) পরিচালিত জাপান ওভারসিস কো-অপারেশন ভলান্টিয়ার (স্বেচ্ছাসেবক) প্রোগ্রামের (জেওসিভি) ৫০ বছরপূর্তি উৎসব উদযাপন করা হয়।  

সোমবার সন্ধ্যায় টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ, জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার ইয়োশিকাওয়া ইউমি, জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়াজাকি কাতসুরা ও মহাপরিচালক তাচিবানা হিদেহারু। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার সৈয়দ নাসির এরশাদ অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ইআরডি সচিব শরিফা খান স্বাগত বক্তব্য দেন। ইআরডি সচিব জেওসিভির ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস ও জাইকাকে ধন্যবাদ জানান।  

তিনি বলেন, জাপান এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়ো উন্নয়ন সহযোগী। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশকে জাপানের প্রতিশ্রুত উন্নয়ন সহায়তার পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে জেওসিভি প্রোগ্রাম স্থগিত হয়ে গেলেও এ মাসেই তা আবার চালু হওয়ায় জাপান সরকার ও জাপানের জনগণকে ধন্যবাদ।

জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার ইয়োশিকাওয়া ইউমি বলেন, জাপান সরকারের পক্ষ থেকে জেওসিভি প্রোগ্রাম চালু করার বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়। তিনি বাংলাদেশকে জাপানের বিশেষ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের উত্তরোত্তর উন্নতি ঘটবে এবং সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়াজাকি কাতসুরা জেওসিভি শুরুর পেছনে জাপান ও বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে জাইকা ভলান্টিয়ার প্রোগ্রাম আরও সম্প্রসারিত হবে।

সমাপনী বক্তব্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের মধ্য দিয়ে দুই বন্ধুভাবাপন্ন দেশের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি রচিত হয়েছিল। বাংলাদেশে জাইকার জেওসিভি প্রোগ্রামের ৫০ বছরপূর্তি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।  

তিনি দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন এ বছর এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং জেওসিভির সাবেক ও বর্তমান ভলান্টিয়াররা উপস্থিত ছিলেন।

১৯৭৩ সাল থেকে এই স্বেচ্ছাসেবকরা এদেশের মানুষের জীবন-মান উন্নয়নের বিষয়ে কাজ করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩
এমইউএম/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।