ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এনআইডি আপাতত ইসির অধীনেই থাকছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
এনআইডি আপাতত ইসির অধীনেই থাকছে

ঢাকা: জাতীয় পরিচয় (এনআইডি) নিবন্ধন কার্যক্রম এখনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে যাচ্ছে না। যতদিন তাদের অফিস, লোকবলসহ অন্যান্য প্রস্তুতি সম্পন্ন না হবে ততদিন ইসির অধীনেই থাকবে বলে জানিয়েছেন  নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

মো. জাহাংগীর আলম বলেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনের নতুন আইনের দেওয়া আছে, সরকার যখন গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা এ কার্যকর করার তারিখ নির্ধারণ করবে তখন কার্যকর হবে। যতক্ষণ আইন কার্যকর হওয়ার তারিখ নির্ধারণ না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এনআইডি কার্যক্রম যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে।

এছাড়াও বলা হয়েছে, এ আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন এ আইন কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। অর্থাৎ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যতদিন পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রস্তুতি (দপ্তর ও জনবল) সম্পন্ন করে তারিখ নির্ধারণ না করবে ততদিন ইসিই এ কাজ পরিচালনা করবে। এতে নিয়ে সমস্যা দেখি না। আমরা তো আইনটা পড়ছি না।

তিনি বলেন, ভোটার তালিকার জন্য পৃথক আইন আছে। দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। ভোটার হাল নাগাদ নির্বাচন কমিশনই করবে। রাষ্ট্রই ইসিকে এনআইডির দায়িত্ব দিয়েছিল। আবার আইন করে নিয়ে যাচ্ছে। আইনের পর এখন বিধিমালা হবে। এরপর অফিস, জনবল নিয়োগ করতে হবে। এরপর এনআইডি নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এনআইডি সার্ভার বন্ধ করার বিষয়ে ইসি সচিব আরও বলেন, কখনো সাট ডাউন হয়ে যায়, কখনো করতে হয়। এটি আগাম জানানো সম্ভব হয় না। ইলেকট্রনিক ডিভাইস যে সময় সাট ডাউন হতে পারে। যেখানে তথ্য ভাণ্ডার থাকে সেখানেই সাইবার হামলার ঝুঁকি থাকে। ঝুঁকি থাকলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার সবার থাকে সুরক্ষার জন্য।

অনেক সেবাগ্রহীতা থাকায় কোনো আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে কি-না, ডাটাবেজ একটা। তো ঝুঁকি তো থাকবেই। এটা আসলে করার কিছু নেই। আগে বুঝতে হবে বিপদ বা রেগুলার রক্ষণাবেক্ষণ, এ জাতীয় বিষগুলো, ঝুঁকি সব সময় থাকে। যখন যে পরিস্থিতি আসবে সে অনুযায়ী প্রতিরক্ষা করতে হবে। একটা ব্যাংকের যেমন যে কোনো সময় ঝুঁকি থাকে, তেমন এত বড় ডাটাবেজ আমাদেরও ঝুঁকি আছে।

তিনি বলেন, এটা মূল্যবান একটা সম্পদ। এটা প্রতিনয়ত আপডেট করা হচ্ছে। এটা গতানুগতিক কাজ। আর একদিন, দু'দিনের জন্য সার্ভার অফ সারা দুনিয়ায় হয়।

সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে মো. জাহাংগীর আলম আরও বলের, ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটের প্রস্তুতি রোডম্যাপ অনুযায়ী এগিয়ে নিচ্ছি। আমরা পিছিয়ে নেই। প্রশিক্ষক তৈরির প্রশিক্ষণ চলছে। গত ২ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে। তারা ১০ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে।

এরপর আমরা ইউএনও, জেলা নির্বাচন কমিশনার, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, পুলিশ কমিশনারদের প্রশিক্ষণ অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হবে। চারটা ব্যাচে ১০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেবো।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনলাইন মনোনয়নপত্র জমা, আইন সংশোধন ইত্যাদি সম্পর্কে ব্রিফিং হবে। নভেম্বর মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ চলবে।

ইসি সচিব বলেন, সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কে হবেন তা এখন সিদ্ধান্ত হয়নি। তফসিলের সিদ্ধান্তও হয়নি। কমিশন বৈঠকে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবেন। ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ হবে।

ভোট বিতর্কিত না করার জন্য বার্তা কী, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে একটা পত্র দেওয়া হয়েছে। তারা মাঠ পর্যায়ে এটা জানাবে। আমরা টাইম লাইনের মধ্যে ঢুকে গেছি। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশন যখন যে সিদ্ধান্ত দেবে, সে অনুযায়ী সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে আমরা কাজ করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
ইইউডি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।