বরিশাল: দুর্গাপূজা উপলক্ষে দ্বিতীয় দফায় বরিশাল নগরের পোর্ট রোড মোকাম থেকে ভারত পাঠানো হচ্ছে ১০ টনের বেশি ইলিশ।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে দুই ব্যবসায়ীর তিন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ ইলিশ পাঠানো হচ্ছে।
এর মধ্যে বরিশাল জেলা মৎস্য আড়ৎদার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল পাঠাচ্ছেন আট টন ইলিশ। তার দুটি প্রতিষ্ঠান মাহিমা ও তানিশা এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে এ মাছ পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া ঢাকার জে জে এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ৬০ মণ (প্রায় দুই টনের বেশি) ইলিশ পাঠাচ্ছেন পোর্ট রোড মোকামের ব্যবসায়ী খান হাবিব।
জানা গেছে, দ্বিতীয় চালানে পাঠানো মাছের দাম স্থানীয় বাজারের চেয়ে কম। ভারতে রপ্তানি করা ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) নগরের পোর্ট রোড বাজারে ৫৮ হাজার টাকা প্রতিমণ বিক্রি হয়েছে। সেই হিসাবে প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৪৫০ টাকা। আর ভারতে পাঠানো ইলিশের প্রতিকেজির দাম পড়ছে ১০ ডলার হিসেবে ১ হাজার ১০০ টাকা।
রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান তানিশা ও মাহিমা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী নিরব হোসেন টুটুল বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে নদীতে ইলিশ নেই। সাগরেও ট্রলার যেতে পারছে না। তাই পোর্ট রোডে ইলিশের সংকট রয়েছে। তাই রপ্তানির জন্য ইলিশ কিনতে ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে। ইলিশ সংকট থাকায় আট টন পাঠানো হচ্ছে। রাতে ট্রাক ছাড়া হবে। আগামী শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাবে।
পোর্ট রোডের ব্যবসায়ী খান হাবিব বলেন, ঢাকার জে জে এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে পোর্ট রোড থেকে ৬০ মণ (প্রায় দুই টনের বেশি) ইলিশ রাতে ভারতে পাঠানো হবে।
পোর্ট রোডের ব্যবসায়ী মো. মামুন জানান, শুক্রবার পোর্ট রোড বাজারে এলসি সাইজের ইলিশ ৫৮ হাজার, কেজি সাইজের ইলিশ ৬৩ হাজার, এক কেজি ২০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ ৬৮ হাজার ও দেড় কেজি সাইজের ইলিশ ৭৬ হাজার টাকা প্রতিমণ বিক্রি হয়েছে।
ইলিশ সংকটের কারণে দাম বেড়ে গেছে জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, ইলিশের এ ভরা মৌসুমে মোকামে প্রতিদিন কোটি টাকা বাণিজ্য হতো, এখন ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
এমএস/আরবি