ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কলম দিয়ে খুঁচিয়ে ঘুমন্ত বন্দীর ২ চোখ নষ্ট করলেন এক কয়েদি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২৩
কলম দিয়ে খুঁচিয়ে ঘুমন্ত বন্দীর ২ চোখ নষ্ট করলেন এক কয়েদি 

নোয়াখালী: নোয়াখালী জেলা কারাগারে ঘুমন্ত অবস্থায় কলমের খোঁচায় নুর হোসেন বাদল (৩২) নামে এক বন্দীর দুই চোখ নষ্ট করে দিয়েছেন মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অপর এক কয়েদি।

রোববার (১ অক্টোবর) সকাল ৬টার দিকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে এ ঘটনা ঘটে।

হামলাকারী কয়েদির নাম মহিন উদ্দিন মহিন (৩০)। মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত মহিনের বাড়ি বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে।  

ভুক্তভোগী কয়েদি নুর হোসেন বাদল উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণপুর গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে।

বাদলের মামা নুর নবী সোহেল অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারী মহিন মাদকাসক্ত। তিন মাস আগে তাকে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাদক সেবনের দায়ে এক মাসের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠান।

আর বাদল একটি নারী নির্যাতন মামলায় দুই বছর ধরে জেলে রয়েছে। এ মামলা চলমান রয়েছে। রোববার সকালে মহিন কলম দিয়ে ঘুমন্ত বাদলের দুই চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করেন। এতে কলমের আঘাতে একটি চোখ বের হয়ে যায়, আরেকটির মধ্যে কলমের নিব রয়ে যায়। সকাল ৭টার দিকে এক কয়েদি জেল থেকে ফোনে বিষয়টি আমাকে জানালে আমি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী হাসপাতালে ছুটে যাই। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  

জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার সৈয়দ মো. জাবেদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চোখ উপড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেনি। জেলের বাইরের শক্রতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। সকালে কারাগার আনলক করা হয়। ওই সুযোগে কয়েদি মহিন ঘুমন্ত বাদলের দুই চোখে কলম দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করেন। সঙ্গে সঙ্গে ভুক্তভোগীকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসক তাকে ঢাকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।  

ডেপুটি জেলার আরও জানান, অভিযুক্তের নামে জেলকোড অনুসারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তার নামে নোয়াখালী কারাগারের জেলার আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।