ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পয়সা দিয়ে পর্যবেক্ষক আনার মতো পরিস্থিতি নেই: পররাষ্ট্রসচিব

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
পয়সা দিয়ে পর্যবেক্ষক আনার মতো পরিস্থিতি নেই: পররাষ্ট্রসচিব

ঢাকা: পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মো‌মেন জানিয়েছেন, পয়সা দিয়ে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক নিয়ে আসার মতো পরিস্থিতি বাংলাদেশের নেই।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সফররত যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতারের স‌ঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব এ কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষক পাঠালে তার ব্যয় বাংলাদেশ বহন করবে কিনা জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, না। আমাদের ব্যয় বহন করার রেকর্ড অতীতেও নেই। এমন কোনো পরিস্থিতি নাই যে আমাদের পয়সা দিয়ে পর্যবেক্ষক আনতে হবে। লজিস্টিক যেটা লাগে সেটা আমরা দেব। পয়সা দিয়ে নির্বাচন দেখাইতে নিয়ে আসতে হবে, আমার মনে হয় না আমরা সেই পর্যায়ে আছি।

যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলাপ হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রসচিব।  

তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এনডিআই এবং আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদল যে পরামর্শ দিয়েছেন, সে ব্যাপারে মার্কিন অবস্থানও একই রকম। তারা চাচ্ছে, আগামী নির্বাচনটা অবাধ ও সুষ্ঠু হোক।

এনডিআই এবং আইআরআই বাংলাদেশে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে চাইলে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রস্তুত আছে বলেও জানান মাসুদ বিন মোমেন।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ওরা (যুক্তরাষ্ট্র) বলেছে, এনডিআই এবং আইআরআইয়ের যে পরামর্শগুলো সেগুলোর সঙ্গে তাদের এন্ডোর্সমেন্ট এবং অ্যালাইমেন্ট আছে। তারা যে পরামর্শ দিয়েছে, তার ব্যাপারে আমরা কি করছি এটা তো…।

নির্বাচনে সহিংসতা প্রসঙ্গে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সহিংসতা এক হাতে হয় না। অন্তত দুটি পার্টি লাগে। আর আমাদের অতীতের যে রেকর্ড আছে সেটা তো ভালো না। সেই কারণে হয়তো তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) শঙ্কা।

কূটনীতিক বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, সন্তোষ বা অসন্তোষ বলে কিছু নাই। তারা যদি অযাচিতভাবে এ বিষয়ে কথা বলে এবং সেটা যদি আমরা মনে করি, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ, তখন আমরা ভিয়েনা কনভেনশনের কথা বলেছি। কিন্তু আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বা অংশীদার হিসেবে যদি তাদের কোনো জিজ্ঞাসা থাকে বা কোনো মন্তব্য থাকে সেটা তো আমরা সবসময় উত্তর দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের সমস্যা হলো-কূটনীতিকরা পাবলিক ডোমেইনে যদি কোনো কিছু বলে বা করে ডমিস্টিক বা ইন্টারনাল অ্যাফেয়ার্সে হস্তক্ষেপ করে সেটাতে আমাদের আপত্তি আছে। বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হতেই পারে। কিন্তু পাবলিক ডোমেইনে অযাচিত কথা বলা বা উপদেশ দেওয়া সমস্যা। সেগুলোর ব্যাপারে আমরা কথা বলেছি।

নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক দল অর্থবহ সংলাপের কথা বলছে। এটা হস্তক্ষেপ কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আমরা তো বলছি, সেটা আপনারা যেভাবে দেখেন।

নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তির সম্ভবনা নেই বলেও জানান পররাষ্ট্রসচিব।  

বৈঠকে ফিলিস্তিন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিশেষ করে গাজা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসনকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলেছি আমরা।

আফরিনের সঙ্গে বৈঠকে নতুন করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে আলাপের বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এটা নিয়ে তারাও কিছু বলে নাই। আমরাও কিছু বলি নাই।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
টিআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।