ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

অপহৃত যুবক উদ্ধারসহ ৪ অপহরণকারী গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৩
অপহৃত যুবক উদ্ধারসহ ৪ অপহরণকারী গ্রেপ্তার

ঢাকা: রাজধানীর খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে অপহৃত যুবক রিমনকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে খিলক্ষেত থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন মো. ইকবাল হোসেন হাওলাদার, মো. জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার, মো. রাজু ও মো. আলামিন।

অভিযানে তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, পাঁচটি মোবাইল ফোন, একটি চাকু, একটি গামছা, রশি ও নগদ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে গুলশানে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, সোমবার (২৩ অক্টোবর) গাজীপুরের বাসন থানার সালনা বাজার ও ঢাকার খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-২ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, সোমবার সকালে অপহৃত রিমন চন্দ্র দে’র বাবার কাছে তার মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসে। ছেলের ফোন রিসিভ করার পর অপর পাশ থেকে এক ব্যক্তি বলে, আপনার ছেলে আমাদের কাছে জিম্মি, ছেলেকে সুস্থ শরীরে ফেরত পেতে চাইলে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। কিছুক্ষণ পর অপহরণকারীরা আবার ফোন করে নগদ সার্ভিসের তিনটি নম্বর দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দিতে বলে। উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগীর বাবা তাদের দেওয়া ওই নগদ নম্বরে এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। এ বিষয়ে অপহৃতের বাবা খিলক্ষেত থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

ডিসি বলেন, অভিযোগ পেয়ে খিলক্ষেত থানা পুলিশের দুটি টিমকে নিয়োজিত করা হয়। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ক্যান্টনমেন্ট জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে ক্যান্টনমেন্ট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মেরিনা আক্তারসহ খিলক্ষেত থানার একটি টিম ওই দিনই অপহৃত রিমনকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত চার অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গুলশান বিভাগের ডিসি বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী/অপহরণকারী চক্রের সদস্য। তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করত। গ্রেপ্তার প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

এদিকে, ভুক্তভোগী রিমনের বাবা রঞ্জিত চন্দ্র দে ছেলেকে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পরেন। তিনি বলেন, আমি খিলক্ষেত থানায় অভিযোগ করার মাত্র ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে আমার ছেলেকে তারা উদ্ধার করেছে। পুলিশের আন্তরিকতা ও তাদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের জন্য আমার ছেলেকে আমি অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেয়েছি। এজন্য খিলক্ষেত থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৩
এসজেএ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।