সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে হযরত খাজা ইউনুস আলীর (র.) দরবার শরীফে দাফন করা হলো সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) জুমার নামাজ শেষে দুপুর ২টার দিকে মাজার শরীফ প্রাঙ্গণে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বাদ জোহর রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদ, পরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সৈয়দ আবুল হোসেন হযরত খাজা ইউনুস আলী এনায়েতপুরী (র.) -এর দরবার শরীফের বর্তমান সাজ্জাদানশীন পীর খাজা কামাল উদ্দিন নুহু মিয়ার জামাতা। এনায়েতপুর গ্রামে তার নিজস্ব একটি বাড়িও রয়েছে।
হযরত খাজা ইউনুস আলী এনায়েতপুরীর (র.) -এর দরবার শরীফের খাদেম মাহফুজুর রহমান বাবলু এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মরহুম আবুল হোসেনের পূর্ব ইচ্ছা ও পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে এখানে দাফন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মরদেহ হেলিকপ্টারযোগে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে এসে পৌঁছায়। সেখান থেকে এনায়েতপুর দরবার শরীফ প্রাঙ্গণে আনা হয়। এরপর জুমার নামাজের পর ঠিক ২টার দিকে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাকে দরবার শরীফ প্রাঙ্গণেই দাফন করা হয়।
জানাজায় সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মণ্ডল, এনায়েতপুর দরবার শরীফের গদিনশীন পীর খাজা কামাল উদ্দিন নুহু মিয়াসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।
গত ২৫ অক্টোবর ভোরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন।
সৈয়দ আবুল হোসেন ১৯৫১ সালে মাদারীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশায় একজন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী ছিলেন। তার স্ত্রীর নাম খাজা নার্গিস। তার দুই মেয়ে সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন ও সৈয়দা ইফফাত হোসেন। তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে মাদারীপুর-৩ আসন ৬ষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আবুল হোসেন ২০০৯-১২ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৩
এসআরএস